রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটের মুখে দল ছেড়েছেন।আসন্ন লোকসভা ভোটে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকে কি শাসকদলের সদ্য প্রাক্তন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কেই প্রার্থী করবে বিজেপি? খবর তেমনই। শোনা যাচ্ছে, শাসকদলের বহিষ্কৃত সাংসদকে বিষ্ণুপুরে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এমনকী, রাজ্য বিজেপি কিংবা এ রাজ্যে যুব মোর্চার কোনও পদ পেতে পারেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
[ নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলই লোকসভা ভোটে হাতিয়ার বঙ্গ বিজেপির]
গত কয়েক মাস ধরে এ রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। বরং তলে তলে তিনি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে খবর। অস্ত্র মামলায় আপ্ত সহায়ক গ্রেপ্তার হওয়ার পরে বুধবার দিল্লিতে আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। শুধু তাই নয়, দলবদলের পর খোদ তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও রীতিমতো তোপ দেগেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র দুটি শর্ত ছিল, আগামী লোকসভা ভোটে ফের তাঁকে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করতে হবে আর যুব মোর্চার সভাপতি করতে হবে। দ্বিতীয় শর্তটি পূরণ হবে কিনা, তা এখনই নিশ্চিত নয়। তবে আসন্ন লোকসভা ভোটে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে সৌমিত্র খাঁ-ই যে বিজেপি প্রার্থী হবেন, তা একপ্রকার চূড়ান্ত বলেই খবর।
এখনও দিল্লিতেই রয়েছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কলকাতায় ফিরে বিজেপির রাজ্য দপ্তরে গিয়ে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূল ছেড়ে আসা সাংসদকে বঙ্গ বিজেপির কোনও পদে বসানো হতে পারে। তবে সৌমিত্র খাঁ’র দলত্যাগের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এ রাজ্যের শাসকদলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ, ‘২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য কোতুলপুরে জোট প্রার্থী হিসেবে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। ২০১৯-এ উনি জিতে দেখান। ওঁর দলবদলে কোনও প্রভাবই পড়বে। তৃণমূল কংগ্রেসে লোকসভায় ৪২টি আসনেই জিতবে।’ ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস ও তৃণমূল। বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন সৌমিত্র খাঁ। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে, ২০১৪ সালে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। বিজেপি যোগ দেওয়ার পরই সৌমিত্র খাঁ-কে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল।
[ছাগলের কানেই শাপমুক্তি, অঙ্গবিকৃতি থেকে মুক্তি পেলেন ২৫ জন]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.