ছবি: প্রতীকী
দীপঙ্কর মণ্ডল: দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। করোনা সতর্কতায় আগামী একমাসও শ্রেণিকক্ষে পঠন পাঠন হবে না। মাস্ক, স্যানিটাইজার এবং দূরত্ব বিধি মেনে জুলাই থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য স্কুলের দরজা খোলা হতে পারে। স্কুলশিক্ষা দপ্তর ঠিক করেছে প্রথমে নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের পঠন-পাঠন শুরু করা হবে। কিন্তু মাধ্যমিকের ফলই তো প্রকাশ হয়নি। তাহলে কি করে শুরু হবে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ক্লাস? এই কারণে জুনে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে চায় রাজ্য সরকার। নির্দেশ গিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। পরীক্ষকদের পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত খাতা দেখে নম্বর জমা দিতে হবে। রবিবার জারি হয়েছে এই কঠোর নির্দেশিকা।
চলতি বছরে ১০ লক্ষেরও বেশি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ফল প্রকাশের অপেক্ষায়। স্থগিত থাকা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হবে ৬ জুলাই। তার অন্তত ১৫ দিন আগে মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হবে। প্রধান পরীক্ষকদের বলা হয়েছে তাঁরাও যেন খাতা পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পর্ষদের আঞ্চলিক অফিস অথবা কলকাতার সদর দপ্তরে এসে নম্বর জানিয়ে দেন। পর্ষদের নির্দেশে আতান্তরে পড়েছেন পরীক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্য, লকডাউন পুরোপুরি ওঠেনি। গণপরিবহন পুরোপুরি চালু হয়নি। সবার গাড়ি বা মোটর বাইক নেই। দূরের শিক্ষকরা কি করে খাতা জমা করবেন? এই প্রশ্নের উত্তর পর্ষদের কোনও আধিকারিকের কাছে পাওয়া যায়নি। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় ফোন না তোলায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
মাধ্যমিকের খাতা জমা দেওয়া নেওয়ার কাজে যুক্ত কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় শিক্ষকদের মধ্যে তুমুল অশান্তি। কেউ কেউ পকেট থেকে হাজার হাজার টাকা বাড়তি খরচ করে খাতার বান্ডিল নিয়ে প্রধান পরীক্ষকদের কাছে আসবেন বলে জানিয়েছেন। অনেকে পাড়ার লোকজন বা আবাসনের বাসিন্দারা বাধা দিতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন। শিক্ষক সংগঠন বিজিটিএ পর্ষদকে প্রস্তাব দিয়েছে, কলকাতা-সহ জেলায় একটি জায়গা নির্দিষ্ট করা হোক। প্রশাসনিক সাহায্য নিয়ে গাড়ি পাঠিয়ে সেই জায়গায় উত্তরপত্রগুলি দেওয়া-নেওয়া হোক। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির বক্তব্য, কিছু জায়গায় এখনও রেড জোন আছে। লকডাউন পুরোপুরি ওঠেনি। পর্ষদ এই তুঘলকি সিদ্ধান্ত না নিলেও পারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.