ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে এবার সতর্কতা কলকাতা বিমানবন্দরে। চিনে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬ জনের। তাই চিন থেকে আসা পর্যটকদের আপাদমস্তক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ছাড়া হচ্ছে। থার্মাল স্ক্যানারে চলছে স্ক্যানিং পদ্ধতি। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই মিলছে শহরে ঢোকার ছাড়পত্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কলকাতার পাশাপাশি দেশের আরও ৭টি বিমানবন্দরে জারি হয়েছে সতর্কতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের উপসর্গ অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। তবে জ্বর ও কাশির পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট দেখা যায় রোগীর। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কিডনি বিকল হতে পারে। এমনকী মৃত্যুও হতে পারে রোগীর। একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। হাঁচি, কাশি থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়েছেন, ছ’ফিট পর্যন্ত ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। এটি সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করে। কোনও রেলস্টেশন বা বিমানবন্দরে যদি একজনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পৌঁছয়, তাহলে অনেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তাই অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে অসুরক্ষিত ডিম বা মাংসের উপরও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
চিনে ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের বলি হয়েছেন প্রায় ৬ জন। প্রাথমিকভাবে ইউহানের সামুদ্রিক খাবার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছিল। বেশ কিছু গবাদি পশুও আক্রান্ত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তাদের ডিম বা মাংস থেকে মানবশরীরে প্রবেশ করে জীবাণুটি। এর আগে এধরনের জীবাণুর অস্তিত্ব মেলেনি বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হচ্ছেন। পরে রক্তপরীক্ষায় মিলেছে এই করোনা ভাইরাস। চিনের বাইরে থাইল্যান্ডের এক বাসিন্দা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। উৎসস্থল চিন হলেও এই মুহূর্তে ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে পাশের দেশগুলিও। জাপান, সিঙ্গাপুর, হংকং, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়ায় চিন থেকে যাওয়া যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) করোনা ভাইরাসকে আন্তর্জাতিক স্তরে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ‘বিপজ্জনক’ তকমা দেওয়ার কথা ভাবছে। ঠিক যেভাবে সোয়াইন ফ্লু এবং ইবোলার ক্ষেত্রে ঘোষণা করা হয়েছিল। বুধবার সংস্থার সদর দপ্তরে এনিয়ে বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.