Advertisement
Advertisement

Breaking News

আবেশ রহস্যমৃত্যুর জের: মদ বিক্রিতে ‘২১’ দাওয়াই

২১ বছরের নিচে কাউকে মদ বিক্রি করলেই এবার বাতিল হবে পানশালা বা মদের দোকানের লাইসেন্স৷

Restriction issued by Excise Department of West Bengal Government for liquor shop owner who selling alcohol to the teenagers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 1, 2016 8:50 am
  • Updated:August 5, 2019 4:30 pm  

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: আইন ছিলই৷ সানি পার্কের ঘটনার পর সেই আইন পুরোপুরি লাগু করতে তৎপর হল আবগারি দফতর৷ ২১ বছরের নিচে কাউকে মদ বিক্রি করলেই এবার বাতিল হবে পানশালা বা মদের দোকানের লাইসেন্স৷ প্রমাণ মিললে এমনই কড়া দাওয়াই এবার প্রয়োগ হবে৷ শুধু মদ বিক্রিতেই নয়, পানশালায় ঢোকার ক্ষেত্রেও ‘একুশে’ নোটিস ধরিয়েছে আবগারি দফতর৷ শহরের সব পানশালা, মদের দোকানে এই নোটিস পৌঁছে গিয়েছে৷ এত দিন আইন থাকলেও তাকে বুডো আঙুল দেখানোর রেওয়াজ প্রকট হয়ে উঠেছে আবেশের মৃত্যুর ঘটনায়৷ আবগারি দফতরের পাশাপাশি এবার ২১-এর নিচে মদ বিক্রি ঠেকাতে পুলিশও নজরদারি চালাবে বলে জানা গিয়েছে৷

আবেশের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার পর প্রশ্ন ওঠে কীভাবে ১৭ বছরের এক কিশোরের হাতে এল মদের বোতল৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ ও টালিগঞ্জের দুই মদের দোকানের হদিশ পায়৷ যারা আবেশ ও তার বন্ধুদের মদ বিক্রি করেছিল৷ পরে পুলিশ গ্রেফতারও করে দুই মদের দোকানের মালিক ও এক কর্মীকে৷ এর পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের আবগারি দফতর৷ শীর্ষ কর্তাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ২১ বছরের কমবয়সীদের মদ বিক্রি বন্ধ করতে কড়া আইন লাগু করা হবে৷ সেই মতো কলকাতার সব পানশালা ও মদের দোকানে নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ একই সঙ্গে যাতে ২১ বছরের নিচে কেউ ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে কড়া হওয়ায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সমস্ত পানশালাকে৷ যদি কেউ পানশালার ভিতরে আসেও তাদের যাতে কোনও ভাবেই ‘ড্রিঙ্কস’ দেওয়া না হয় তার জন্য ‘বার বয়’-দের সতর্ক থাকতে হবে৷ যদি কোনও ক্ষেত্রে গাফিলতি ধরা পড়ে তাহলে বাতিল হয়ে যাবে আবগারি লাইসেন্স৷

Advertisement

কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বত্র আবগারি দফতরের এই নির্দেশিকার পাশাপাশি বিভিন্ন পর্যটনস্থলের আশপাশের মদের দোকান ও পানশালাগুলিতেও বাড়তি নজরদারি চলবে বলে খবর৷ সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে কলকাতা ও শহরতলির এলাকাগুলিতে৷ আবগারি দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার পাশাপাশি ইএম বাইপাস, সল্টলেক, দমদম, লেকটাউন, ভিআইপি রোডের দু’ধার, বারাসত, বারাকপুর, জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকা, কোলাঘাট, বিভিন্ন এলাকার পানশালা ও মদের দোকানের উপর নজরদারি আরও বাড়ানো হবে বলেও খবর৷

আবগারি দফতর সূত্রে খবর, প্রায়শই মদ খেয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা বা সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে যাওয়ার মতো একাধিক নজির রয়েছে৷ তেমনই মদ খেয়ে খুনের ঘটনাও ঘটেছে এ রাজ্যে৷ যদিও এর মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, এই কড়াকড়িতেও কি আদৌ একুশের কমবয়সীদের মদ বিক্রি বা মদ খাওয়া আটকানো সম্ভব? আবগারি দফতরের এক কর্তা জানিয়েছেন, মদ খাওয়া আটকানো হয়তো সম্ভব নয়৷ তবে মদ বিক্রিতে রাশ টানা সম্ভব৷ যদিও আইনের ফাঁক গলে যদি কোনও উচচবিত্ত পরিবারের কিশোর ও তার বন্ধুরা গাড়ির চালক বা বাড়ির পরিচারককে মদ কেনার কাজে লাগায় তাহলে আবগারি দফতরের এই কড়াকড়ি কতটা কাজে আসবে তা নিয়েও ধন্ধ রয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement