নব্যেন্দু রায়: চন্দ্রযান ৩ (Chandrayaan 3) চাঁদের মাটি ছুঁতেই তৈরি হয়েছে ইতিহাস। নির্মিত এমন এক মুহূর্ত, যা মানুষের মহাকাশ বিজয়ের ইতিহাসে এক সোনালি অধ্যায় হয়ে চিরকাল থেকে যাবে। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পরই বেনজির ঘটনা রাজ্য বিধানসভায়। ইসরোর গোটা টিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনা হয় প্রস্তাব। দেশের মধ্যে এই প্রথম রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব এনে ধন্যবাদ জানানো হল।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘চন্দ্রযান আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে৷ আমরা গর্ব করে বলছি, আমরা যা করি, বাকিরা আমাদের অনুসরণ করেন। ISRO আমাদের স্বপ্ন সত্যি করে দিয়েছে। আর এই কাজে একাধিক বাঙালি আছেন৷ তা আমাদের আরও গর্বিত করেছে৷ ল্যান্ডিংয়ের সময়টা আমরা দেখতে পাইনি৷ কারণটা আর বলছি না৷ একটু দুঃখ থেকে গিয়েছে৷’’
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মতোই গর্বপ্রকাশ করেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তাঁর কথায়, ‘‘অত্যন্ত আনন্দের দিন৷ চন্দ্রের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ নিয়ে আমরা উল্লসিত। তবে ল্যান্ডিং শেষ মুহূর্তে দেখা যায়নি৷ এটা ঠিক যে দেশে প্রথম এই বিধানসভায় প্রস্তাব আনা হল। ইসরো বিজ্ঞানীদের কাছে এটা পাঠানো হবে।’’ মহাকাশ গবেষণা সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেন, ‘‘ISRO-কে ধন্যবাদ৷ দেশকে বিজ্ঞানীরা গর্বিত করেছে।’’
এর আগে ২০১৯ সালে ইসরোর চন্দ্রযান ২-ও চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার লক্ষ্যেই অভিযান চালিয়েছিল। সেবার অবশ্য সাফল্য আসেনি। এরপর গত ৪ বছর ধরে তিলে তিলে প্রস্তুত হয়েছে ইসরো। সেই প্রস্তুতি কতটা মজবুত ছিল, তারই প্রমাণ মিলেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.