Advertisement
Advertisement

Breaking News

মৃণাল সেনের বাড়ি বিক্রি

দেখভালের অভাব, বিক্রি হচ্ছে মৃণাল সেনের পদ্মপুকুর রোডের ফ্ল্যাট

পদ্মপুকুর রোডের এই ফ্ল্যাটেই গত বছর জীবনাবসান হয় মৃণাল সেনের।

Residence of Mrinal Sen at Padmapukur road will be sold soon
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 28, 2019 10:54 am
  • Updated:November 28, 2019 10:55 am  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: গোটা ভুবন ছিল তাঁর আবাস। অথচ মহাপৃথিবীর সেই বাসিন্দার শেষ স্মৃতিটুকও হারিয়ে ফেলতে চলছে তাঁর নিজের শহর। ‘কলকাতা ৭১’ পাড়ি দিচ্ছে লন্ডনে। তিলোত্তমায় ঠাঁই হচ্ছে না বিশ্ববরেণ্য পরিচালক মৃণাল সেনের কোনও চিত্রনাট্যের পাণ্ডুলিপি বা সিনেমার ব্রোমাইড ফিল্ম। এমনকী, যে ঘরে বসে তিনি একের পর এক কালজয়ী ছবির চিত্রনাট্য রচনা করে দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন, দক্ষিণ কলকাতার সেই ফ্ল্যাটও এবার বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কলকাতা থেকে ‘খারিজ’ হয়ে যাচ্ছে ‘পদাতিক’ মৃণালের শেষ চিহ্ন।

২০১৮এর ২৩ ডিসেম্বর ৩৮, পদ্মপুকুর রোডের ওই ফ্ল্যাটে মৃণাল সেনের জীবনাবসান হয়। তার বছর ঘোরার আগেই ফ্ল্যাটটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রবাসী
পুত্র কুণাল সেন। বস্তুত মৃণালের স্মৃতিধন্য অধিকাংশ জিনিসই আর ওখানে নেই। পরিচালকের অধিকাংশ চিঠি, ছবির পাণ্ডুলিপি ও সিনেমার স্টিল ছবি
লন্ডন-সহ কয়েকটি বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছে ফিল্মের ছাত্রছাত্রীদের গবেষণার জন্য। যে শয্যায় মৃণালবাবু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, সেটিও গত সপ্তাহে পিপলস রিলিফ কমিটির সভাপতি, তথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু নিজে এসে নিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: হোমে শিক্ষকের লালসার শিকার নাবালিকারা, পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ]

এবার পদ্মপুকুর রোডের আবাসনের চার তলায় তিন কামরার ফ্ল্যাটটিরও মালিকানা বদল হবে। প্রয়াত পরিচালকের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওখানে থাকার মতো ওঁদের পরিবারে কেউ নেই বলেই ফ্ল্যাটটি বেচে দেওয়া হচ্ছে।
২০০৩ সাল থেকে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত এই ফ্ল্যাটেই কাটিয়েছেন মৃণাল সেন। পুত্র কুণাল অবশ্য বহুকাল প্রবাসী। কলকাতায় বাড়িটি তালাবন্ধ। চাবি রয়েছে মৃণালবাবুর চিকিৎসকের হেফাজতে। তাঁর কথায়, “কুণাল সেন বিদেশে থাকেন। ফ্ল্যাট ও অন্যান্য জিনিস দেখভালের মতো কেউ নেই। আমি মাঝেমধ্যে আসি। কিন্তু সবসময় সম্ভব হয় না। বাড়ি বিক্রি করা ছাড়া উপায় নেই।”

[ আরও পড়ুন: গোলাপি টেস্টে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে গলা মেলাবেন দু’বাংলার শিল্পী জিৎ-রুনা]

পদ্মপুকুর রোডের ফ্ল্যাটে রয়েছে অন্তত দু’হাজার বই। বেশিরভাগই সিনেমা সংক্রান্ত। দেশ-বিদেশের পরিচালকদের থেকে যেমন বই উপহার পেয়েছিলেন, তেমনই প্রচুর বই কিনেছিলেন। রয়েছে বিভিন্ন সময়ে পাওয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার।চিকিৎসকের কথায়,“মৃণাল সেনের মৃত্যুর পরই বিদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আগ্রহ দেখিয়েছিল তাঁর তৈরি সিনেমার স্টিল ছবি ও পাণ্ডুলিপির প্রতি। কিছুদিন আগেই সেগুলি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও মুম্বইয়ের একটি সংগ্রহশালাও মৃণাল সেনের ব্যবহৃত কিছু জিনিস নিয়েছে। তাঁর টেলিফোন ও চশমা নিয়েছে বহরমপুর সিনে সেন্ট্রাল। বেশ কয়েকটি জেলার লাইব্রেরিকে বই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সল্টলেকের আল আমিন মিশনকেও কিছু বই দেওয়া হয়েছে।” একসময় পুরসভার আবর্জনা ফেলার গাড়ি ডেকে পাণ্ডুলিপি ফেলে দিয়েছিলেন এই বরেণ্য পরিচালক। এবার কলকাতা থেকে চলে যাবে তাঁর শেষ স্মৃতিচিহ্নটুকুও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement