সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন, বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রত্যাশিত ভালো ফল। তা সত্ত্বেও দলে বিভিন্ন স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের ‘কাঁটা’ সরছে না কিছুতেই। সামনে আবার ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। সূত্রের খবর, সেদিকে নজর রেখে এবার সাংগঠনিক স্তরে রদবদল করার পথে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সোমবার বিকেলে কালীঘাটের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানে সংগঠনকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিতে পারেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে থাকবেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি-সহ জাতীয় কর্মসমিতির ২২ সদস্য। এদিনের বৈঠক একাধিক দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, তা স্পষ্ট।
সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে দলের সাফল্যের পরই সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন, এবার থেকে দলের বিভিন্ন পদাধিকারীদের পারফরম্যান্সই বলবে শেষ কথা। তার ভিত্তিতে ঠিক হবে কার কী দায়িত্ব থাকবে। ঘোষণা করেছিলেন, তিনমাসের মধ্যেই নতুন চেহারায় হাজির করবেন তৃণমূলকে। সেইমতো কাজও শুরু হয়ে গিয়েছিল। শোনা গিয়েছে, পুজোর আগে অভিষেক বিদেশে চিকিৎসা করতে যাওয়ার আগে সংগঠনে রদবদলের একটি খসড়া প্রস্তুত করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। সেই তালিকা অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা নেত্রীর। সিদ্ধান্ত কি চূড়ান্ত হয়েছে? সোমবারের বৈঠক থেকে কি সেই রদবদলের কথাই ঘোষণা করবেন তিনি? একাধিক জেলা সভাপতি বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। কে পদে বহাল থাকবেন? কারই বা ডানা ছাঁটা যাচ্ছে? এসব নিয়ে এখন তুমুল গুঞ্জন দলের অন্দরে।
এদিকে, সোমবার দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি তথা কোর কমিটির নতুন সদস্য অনুব্রত মণ্ডল। যদিও তিনি কর্মসমিতির সদস্য নন। ফলে এই বৈঠকে অনুব্রতর আমন্ত্রণ পাওয়া কি আদতে তাঁর গুরুত্ব বৃদ্ধি? এই প্রশ্নও উঠছে। যদি সোমবারের বৈঠকে অনুব্রত যোগ দেন, তাহলে জেলমুক্তির পর এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.