Advertisement
Advertisement

Breaking News

সেন্ট পলস কলেজে তোলাবাজির ঘটনায় রিপোর্ট তলব উচ্চশিক্ষা দপ্তরের

চিঠি পাঠিয়ে দপ্তরের তরফে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে বলে খবর৷

Report on Saint Paul's College
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 23, 2018 2:47 pm
  • Updated:November 23, 2018 2:47 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্র-বিক্ষোভ ও ফেস্টের নামে তোলাবাজির ঘটনায় সেন্ট পলস কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট তলব উচ্চশিক্ষা দপ্তরের৷ আগামী সাতদিনের মধ্যে গোটা বিষয়টি রিপোর্ট আকারে উচ্চশিক্ষা দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সেন্ট পলস কলেজের এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের তরফে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে বলে খবর৷

[মুক্তিপণ না পেয়ে কুকুর লেলিয়ে দিল অপহরণকারীরা, গ্রেপ্তার ১]

ইউনিয়ন রুমে ঢুকিয়ে ছাত্রকে নগ্ন করে হেনস্তার ঘটনায় আগেই সেন্ট পলস কলেজ কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে চিঠি পাঠিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর৷ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানানো হয়৷ ছাত্রকে নগ্ন করে হেনস্তা করার ক্ষতে ফের নুন ছেটাল কলেজে তোলাবাজির অভিযোগ৷ এমনিতেই, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তোলাবাজি রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু, কোথায় কী! খোদ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ উড়িয়ে দেদার তোলাবাজির অভিযোগ সেন্ট পলস কলেজের বিরুদ্ধে৷ এদিনের ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে উচ্চশিক্ষা দপ্তর৷

Advertisement

[সপ্তাহ শেষে শহরে ফিরল শীতের আমেজ, নামল পারদ]

বৃহস্পতিবার কলেজে ফেস্টের নামে তোলাবাজির অভিযোগে দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সেন্ট পলস কলেজ। ক্যাম্পাসের বাইরে আমহার্স্ট স্ট্রিটে পড়ুয়াদের মধ্যে চলতে থাকে ধস্তাধস্তি। এ শহরের সমস্ত কলেজেই বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা ফেস্ট হয়। কোথাও কলেজের ক্যাম্পাসে, কোথাও হল ভাড়া করে ফেস্ট আয়োজন করে ছাত্র সংসদ। কলেজে ফান্ডের টাকাতেই অনুষ্ঠান হয়, পড়ুয়াদের কোনও টাকা দিতে হয় না। কিন্তু, আমহার্স্ট স্ট্রিটে সেন্ট পলস কলেজে এই ফেস্টের নামে ছাত্র সংসদের সদস্যরা রীতিমতো তোলাবাজি চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে।

[ড্রোনের মতোই এবার সমুদ্রেও টহল দেবে চালকবিহীন জলযান]

পড়ুয়াদের দাবি, কারও কাছ থেকে চার হাজার টাকা, কারও কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা করে আদায় করছেন ছাত্র সংসদের সদস্যরা। এমনকী, পড়ুয়াদের অনলাইনে ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টেও টাকা জমা দিতে বলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে সেন্ট পলস কলেজের পড়ুয়াদের। বৃহস্পতিবার সকালে কলেজের গেটে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়াদের একাংশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন ছাত্র সংসদ সদস্যদের একাংশও। গেট বন্ধ করে রেখেছিলেন বিক্ষোভকারীরা। আচমকাই কলেজের ভিতর থেকে হুড়োহুড়ি করে ধাক্কা দিয়ে গেট খুলে পড়ুয়াদের অন্য একটি দল বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে বলে অভিযোগ। যাঁরা বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করেছিলেন বলে অভিযোগ, তাঁরা কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকের অনুগামী বলে জানা গিয়েছে। সেন্ট পলস কলেজের ক্যাম্পাসের বাইরে আমহার্স্ট স্ট্রিটের রাস্তায় দুই দল পড়ুয়াদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement