Advertisement
Advertisement

হাসিমুখে বাড়ি ফিরল সাম্বিয়া, কান্নায় ভেঙে পড়লেন অভিমন্যুর বাবা  

‘লড়াই চলবে’, জানালেন মৃত বায়ুসেনা আধিকারিকের ভাই৷

Red Road case: IAF officer's family heartbroken
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 31, 2019 10:08 am
  • Updated:January 31, 2019 3:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় দেড় বছর ধরে চলা মামলার শেষে বুধবার রায়দান হয় রেড রোড কাণ্ডে। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে খুনের দায় থেকে রেহাই পায় মূল অভিযুক্ত সাম্বিয়া সোহরাব। মহামান্য বিচারকের বিচক্ষণতায় মুক্ত হয়ে সেদিন রাতেই হাসিমুখে বাড়ি ফিরে যায় প্রভাবশালী নেতা মহম্মদ সোহরাবের জ্যেষ্ঠ পুত্র। তবে কলকাতা থেকে প্রায় হাজার কিলোমিটার দূরে এই বিচার কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সাম্বিয়ার গাড়ির ধাক্কায় নিহত বায়ুসেনা অফিসার অভিমন্যু গৌড়ের পরিবার। আদালতের রায়ে খুশি নয় বায়ুসেনাও। 

[খুনের মামলা থেকে রেহাই, বেপরোয়া গাড়িচালনায় দোষী সাব্যস্ত সাম্বিয়া]

Advertisement

মৃত অফিসারের ছোট ভাই বজরংগি গৌড় বলেন, “আমরা হেরে যায়নি। দাদার খুনিদের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।” বর্তমান গুজরাটের সুরাটে রয়েছে অভিমন্যুর পরিবার। বায়ুসেনার এক আধিকারিকের মাধ্যমে রায়্দানের কথা জানতে পারেন তাঁরা। খুনের দায় থেকে সাম্বিয়া মুক্তি পাওয়ায় হতাশ হতে পারেন তাঁরা। ব্যাংকে কর্মরত বজরংগি বলেন, “খবরটি পাওয়ার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবা-মা। ছেলের খুনিরা উপযুক্ত সাজা পাবে এই আশাতেই বেঁচে রয়েছেন তাঁরা। আদালতের রায়ে আমরা ধাক্কা খেলেও লড়াই থামবে না। দাদার হত্যাকারীদের সাজা পেতেই হবে।” জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিমন্যুর বাবা রঙ্গলাল গৌড় বলেন, “ন্যায়ের জন্য আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। এর জন্যই আমি বেঁচে থাকব।”  

এদিকে, রেড রোড মামলার রায় মেনে নিলেও বিশেষ খুশি নয় বায়ুসেনা। এদিনও আদালতে তিন বায়ুসেনা অফিসার আসেন। রায় ঘোষণা হওয়ার পরই তাঁরা আদালত ছেড়ে বেরিয়ে যান। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুলিশ হাই কোর্টে যাক, তা চায় বায়ুসেনাও। উল্লেখ্য, বুধবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচার ভবনে নগর দায়রা আদালতে রেড রোড কাণ্ডের রায় ঘোষণা করেন বিচারক মৌমিতা ভট্টাচার্য। রেড রোডের মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২১২ ধারায় অপরাধীকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে চার্জ গঠন হয়েছিল সাম্বিয়ার বাবা মহম্মদ সোহরাব, সাম্বিয়ার দুই বন্ধু সানোয়ার ওরফে শানু ও নুর আলম ওরফে জনির বিরুদ্ধে। এই তিনজনকে রেড রোড মামলা থেকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় আদালত। বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী, ৩০৪এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তিই পেতে হচ্ছে সাম্বিয়াকে। তাঁর দু’বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে আদালত। তার সঙ্গে মৃতের পরিবারকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ। অনাদায়ে ৬ মাস কারাদণ্ড। মৃত অভিমন্যু গৌড়ের পরিবারের কাছে আদালতের প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই ওই টাকা পৌঁছবে। ৪২৭ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড। যেহেতু সাম্বিয়া প্রায় তিন বছর ধরে জেলেই ছিলেন, তাই তাঁর জেলে থাকার মেয়াদ বুধবারই শেষ হয়ে যায়। এদিন আদালতের নির্দেশের কপি, ক্ষতিপূরণ এবং জরিমানার টাকা আদালতে জমা পড়ার পর রাতে সাম্বিয়া প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুক্ত হয়। তবে লালবাজারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অর্ডারের কপি খতিয়ে দেখার পর গোয়েন্দা বিভাগ এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে যেতে পারে।

[‘ক্ষমতা থাকলে বাংলার সরকার ফেলে দেখাক’, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement