Advertisement
Advertisement
Red Road Accident

রেড রোডের দুর্ঘটনা: পলাতক মিনিবাস চালকের বিরুদ্ধে দায়ের অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা

যান্ত্রিক ত্রুটি না বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা? তদন্তে লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগ।

Red road accident: Police files involuntary manslaughter case | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:July 3, 2021 8:47 am
  • Updated:July 3, 2021 8:47 am  

অর্ণব আইচ: রেড রোডে (Red Road) বাইক আরোহী পুলিশকর্মীকে পিষে দেওয়ার অভিযোগে মিনিবাসের চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করল পুলিশ। কেন ওই মিনিবাসের চালক রেড রোডে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটাল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজারের ট্রাফিক বিভাগ।

পুলিশ জানিয়েছে, মিনিবাসের চালক জানত যে, অতিরিক্ত গতিতে বেপরোয়াভাবে বাস চালালে কারও মৃত্যু হতে পারে। তাই তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪(২) ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে মেটিয়াবুরুজ থেকে হাওড়াগামী একটি মিনিবাস আইন ভেঙেই ফোর্ট উইলিয়ামের (Fort William) ইস্ট গেটের সামনে থেকে সোজা রেড রোডের দিকে চলে যায়। মিনিবাসটির সামনেই যাচ্ছিলেন কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের পুলিশকর্মী বিবেকানন্দ ডাব। বাইক সমেত মিনিবাসটির তলায় চলে যান তিনি। তাঁকে পিষে দিয়ে টেনে হেঁচড়ে মিনিবাসটি একটি গাছ ও তারপর ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিল লাগোয়া কংক্রিটের রেলিংয়ে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনায় পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। ১৯ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১১ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: লেকটাউনের সিনেমা হলে ভয়াবহ আগুন, আহত অন্তত ২]

ট্রাফিক বিভাগ তদন্ত শুরু করে জানতে পারে যে, শেষের দিকে অতিরিক্ত গতিতে ছিল বাসটি। তবে তার গতি কত ছিল, তা জানতে ফরেনসিকের চূড়ান্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশকর্মীর দেহের ময়নাতদন্তের পর প্রাথমিকভাবে পুলিশকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর ডান পা পিষে গিয়েছে। দেহের অন্যান্য জায়গায় আঘাত ও হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও পরে পালিয়ে যায় সে। জানা গিয়েছে, তার বাড়ি মেটিয়াবুরুজ এলাকায়। তার সন্ধানে চলছে পুলিশের তল্লাশি।

এদিন প্রাথমিকভাবে মিনিবাসটির যান্ত্রিক পরীক্ষা হয়। যদিও আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। তবে পুলিশের মতে, ডানদিকে ঘোরার কথা ছিল মিনিবাসটির। যদি যান্ত্রিক ত্রুটি ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে, তবে স্টিয়ারিং লক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার গতিতে থাকা মিনিবাসটি যে ব্রেক কষতে পারেনি, সেই ব্যাপারেও পুলিশ আধিকারিকরা নিশ্চিত। ফলে গাড়িটি ব্রেক ফেল করেছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা হচ্ছে। সম্ভবত ব্রেক কষতে না পারার ফলেই সামনে থাকা বাইকটিকে মিনিবাসটি ধাক্কা দেয়, এমন সম্ভাবনা পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে চালক ও কনডাক্টরকে জেরা করলে এই দুর্ঘটনার ব্যাপারে আরও তথ্য মিলতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: টিকা নেওয়ার পর বেঁকে গেল মুখ! হাওড়ার মহিলাকে পরীক্ষা করে কী বলছেন চিকিৎসকরা?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement