সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই পদের নিয়োগ বাতিল হল তিনবার! প্রায় একবছর অন্তর হাত বদল হয়েছিল চাকরির। শেষমেশ সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে বাতিল হল সেই নিয়োগও। অঙ্কিতা অধিকারী, ববিতা দাসের পর চাকরি খোয়ালেন অনামিকা রায়ও।
এসএসসি মারফত ২০১৬ সালে সহকারী শিক্ষিকা পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। পড়াতেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান। কিন্তু অভিযোগ ওঠে দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালে কলকাতা হাই কোর্টে ওঠে তাঁর নাম। সেই প্রেক্ষিতে বাবা ও মেয়েকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। মেখলিগঞ্জ থেকে ট্রেনে উঠলেও কলকাতায় পৌঁছনোর আগেই ‘উধাও’ হয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এর পর সে বছরই ২০ মে চাকরি যায় অঙ্কিতার। পরে সিবিআই তদন্তের মুখেও পড়তে হয় তাঁদের। দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে মন্ত্রীপদও হারান পরেশ অধিকারী। নম্বরের বিচারে অঙ্কিতার পদে নিযুক্ত হন ববিতা দাস।
উল্লেখ্য, অঙ্কিতার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা ঠুকেছিলেন ববিতাই। সেই মামলায় জয়ী হয়ে শুধু চাকরি নয়, বেতন বাবদ অঙ্কিতার উপার্জিত ১৪ লক্ষ টাকাও পেয়েছিলেন তিনি। সেই আনন্দ অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আরেক চাকরিপ্রার্থী অনামিকা রায়ের করা মামলায় পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ১৬ মে ববিতার চাকরি যায়। অভিযোগ, আবেদনপত্রে তিনি বেশি নম্বর দেখিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে চাকরি হারান ববিতাও। সহকারী শিক্ষিকা পদে নিযুক্ত হন অনামিকা। অঙ্কিতার সেই ১৪ লক্ষ টাকাও পেয়েছিলেন তিনি। এর এক বছরের মধ্য়ে চাকরিহারা হলেন অনামিকাও।
আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়ে হতাশ অনামিকা রায়। বলছেন, “অনেক লড়াই করে চাকরি পেয়েছিলাম। অযোগ্যদের বিপাকে ফেলতে গিয়ে যোগ্যরা চাকরি হারাবে ভাবিনি। অযোগ্যদের জন্য আবার পরীক্ষা দিতে হবে ভেবে আমি ভীষণ হতাশ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.