Advertisement
Advertisement

কার্নিভালে আসবেন রেকর্ড বিদেশি, দূষণ-নিয়ন্ত্রণে সতর্ক পুলিশ ও পুরসভা

বিসর্জনে নিষিদ্ধ ডিজে।

Record number of foreigners to join Puja Carnival
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 19, 2018 8:34 am
  • Updated:October 19, 2018 9:28 am  

স্টাফ রিপোর্টার: বিসর্জনের সময় ‘ডিজে’ অথবা তারস্বরে মাইক বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কলকাতা পুলিশ। একইভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু ক্ষেত্রে। বিসর্জনের সময় যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকছে পুলিশ। আজ, দশমী থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত বিসর্জনের দিন ধার্য করা হয়েছে। পুলিশের আশা, রীতি মেনে দশমীর দিনই বাড়ির পুজোগুলির বিসর্জন হয়ে যাবে। তবে ২০ তারিখ শনিবার হওয়ায় নিরঞ্জনের পথে বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলিও খুব একটা আগ্রহী হবে না বলেই মনে করছে পুলিশ-প্রশাসন। সেক্ষেত্রে ২১ ও ২২ তারিখই বেশিরভাগ প্রতিমা বিসর্জন হবে।

[পুজোর মরশুমে অত্যন্ত সস্তায় জোড়া স্মার্টফোন আনল এই কোম্পানি]

Advertisement

২৩ অক্টোবর রেড রোডে পুজো কার্নিভাল হবে। সেখানে কলকাতা ও শহরতলির ৭৫টি প্রতিমা বিশেষ শোভাযাত্রায় অংশ নেবে। সেই প্রতিমাগুলি শোভাযাত্রার পরই গঙ্গার ঘাটে নিজেদের মতো করে বিসর্জন দেবে কমিটিগুলির সদস্যরা। বিশ্ব বাংলা শারদ সম্মানের শিরোপা পাওয়া পুজো কমিটিগুলি মূলত রেড রোডের কার্নিভালে অংশ নেবে। উল্লেখ্য, এবারের কার্নিভাল ঘিরে বিদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ করা যাচ্ছে। কার্নিভালে যোগ দিতে বিদেশি কনসালগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন বহু বিদেশি প্রতিনিধি। কলকাতায় আসতে চেয়ে অনেকেই আবেদন করছেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। নবান্নের রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, কলকাতায় অবস্থিত কনসালগুলির প্রধানরা রাজ্যকে এমন আগ্রহের বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।

কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকেও বিসর্জন উপলক্ষে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার গঙ্গার পাশাপাশি বড় পুকুর, ঝিল ও সরোবরে ফুল, বেলপাতা বা অন্য সামগ্রী যাতে কোনও পুজো কমিটি না ফেলে তার জন্য অফিসার ও কর্মীদের নিযুক্ত করা হচ্ছে। মাইকের মাধ্যমে প্রচারও চালানো হবে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে আবার ২৪টি ঘাটে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। ঘাটগুলিতে থাকছে লঞ্চ, ডুবুরি। বিসর্জনের কথা মাথায় রেখে রিভার ট্রাফিক পুলিশ নজরদারি করবে। প্রতিটি ঘাটে ক্লোজড সার্কিট টিভি থাকবে। ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমেও সবরকম নাশকতা রোখার চেষ্টা করা হবে। নজরদারিতে থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনির সদস্যরাও। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য, বাড়ি ও বারোয়ারি মিলিয়ে শহরে চার হাজারের কাছাকাছি পুজো হয়। কলকাতা পুরসভা আবার রিভার ট্রাফিক পুলিশের সাহায্যে গঙ্গা দূষণের প্রকোপ ঠেকাতে জালের ব্যবস্থা করার চিন্তাভাবনা করেছে। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানিয়েছেন, “পুরসভার প্রায় পঁাচশো কর্মী গঙ্গার ঘাটে মোতায়েন থাকবেন। ৪৫টি গাড়ি ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে।”

[গুগল ম্যাপের কেরামতি, পরকীয়ায় লিপ্ত স্ত্রীর খোঁজ পেলেন ব্যক্তি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement