সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন মেয়রকে শুভেচ্ছা জানতে ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গেলেন রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ আজ, শুক্রবার সকালে ভাবী মেয়রের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন রত্নাদেবী৷ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অসমাপ্ত কাজগুলি পূরণে আর্জিও জানিয়ে আসেন তিনি৷ ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে আগামী দিনে শহর কলকাতায় আরও উন্নয়ন হবে বলেও সংবাদমাধ্যমে জানান সদ্য প্রাক্তন মেয়র-পত্মী৷ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আমলে কলকাতা পুরসভায় সব থেকে বেশি উন্নয়ন হয়ে হয়েছে বলেও ‘স্বামী’কে সার্টিফিকেটও দেন৷
পুরসভার প্রয়োজনে যে কোনও কাজে তিনি সর্বসম্মতভাবে ভাবী মেয়রকে সহযোগিতা করবেন বলেও এদিন জানিয়ে আসেন রত্না৷ ফিরহাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে রত্নাদেবী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘কলকাতা শহরের উন্নয়নে শোভন অনেক কাজ করেছেন৷ আশা করি শোভনের অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করবেন ফিরহাদ৷’’ প্রসঙ্গত, কলকাতার নতুন মহানাগরিক হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম। নতুন ডেপুটি মেয়রও পাচ্ছে মহানগরী। তিনি অতীন ঘোষ। বৃহস্পতিবার উত্তীর্ণ অডিটোরিয়ামে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে কলকাতা পুরসভার ১২২ জন তৃণমূল কাউন্সিলর সর্বসম্মতিক্রমে তাঁদের মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের নাম চূড়ান্ত করেন৷ এর আগে দলের নির্দেশমতো মেয়র পদে ইস্তফাপত্র পুরসভার চেয়ারম্যান মালা রায়ের কাছে পাঠিয়ে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।
[সপ্তাহ শেষে শহরে ফিরল শীতের আমেজ, নামল পারদ]
ফিরহাদ বিধায়ক ও মন্ত্রী। তবে কাউন্সিলর নন। ফলে তাঁর মেয়র পদে বসা আইনগতভাবে সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই পুর আইনের সংশোধনী বিল বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে। ছ’মাসের মধ্যে তাঁকে কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে কোনও একটি থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। কলকাতা পুরসভার সুদীর্ঘ ইতিহাসে স্বাধীনতার পর ফিরহাদই প্রথম সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় থেকে মেয়র। যদিও রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ ওরফে ববি ধর্মনিরপেক্ষ মুখ হিসাবেই পরিচিত৷ তাঁকে মেয়র করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ৷ আগামী ৩ ডিসেম্বর পুরসভার বিশেষ অধিবেশনে মেয়র নির্বাচিত হয়ে ওইদিনই শপথ ফিরহাদের। শপথ নেবেন অতীনও।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তীর্ণ অডিটোরিয়ামে কাউন্সিলরদের নিয়ে মমতার সভা বসে। বলতে উঠে প্রথমেই মেয়রের পদত্যাগ নিয়ে তৈরি হওয়া পরিস্থিতি তিনি স্পষ্ট করে দেন৷ শোভনের সঙ্গে তাঁর কথোপকথন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “পরিস্থিতি এমন কিছু হয়নি। শোভন আগেও তিন-চারবার পদত্যাগ করতে চেয়েছিল। কারও সঙ্গে আমাদের ঝগড়াঝাটির কোনও ব্যাপার নেই। ওর একটা সমস্যা হয়েছিল বলেই পদত্যাগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা চেষ্টা করেছিলাম যাতে ও পদত্যাগ না করে। ভালভাবে জনগণের কাজ করে।” এর পরই মমতা জানিয়ে দেন, “ডিটেলস আলোচনা না করে ও পদত্যাগ করে। জানায় যে, ও পদত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে। আপনাদের জানা উচিত যে, আমি শোভনের সঙ্গে তিনবার কথা বলি। ববিকে দিয়েও কথা বলাই।” শেষে কোনও ফল না হওয়ায় শোভনের পদত্যাগ গৃহীত হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.