Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ratna Chatterjee

কল্যাণকে ‘হুমকি’, শোভনের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় রত্নার বক্তব্য জানতে চাইল হাই কোর্ট

দুপুর ১টার মধ্যে রত্নার আইনজীবীকে তাঁর মক্কেলের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।

Ratna Chatterjee allegedly threatened Kalyan Banerjee, Calcutta HC seeks response
Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 28, 2025 12:33 pm
  • Updated:February 28, 2025 12:48 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রত্নার বিরুদ্ধে। কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কল্যাণ। তার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য রত্নার কৈফিয়ত চাইলেন। দুপুর ১টার মধ্যে রত্নার আইনজীবীকে তাঁর মক্কেলের বক্তব্য জানাতে বলা হয়েছে।

শোভন-রত্নার দাম্পত্যে চিড় ধরে কয়েক বছর আগেই। আলিপুর আদালতে চলছিল তাঁদের বিচ্ছেদ মামলা। সেখানে রত্না আর্জি জানান, আরও কিছু লোকের সাক্ষ্য নেওয়া হোক। নিম্ন আদালত সেই আর্জি নাকচ করে দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রত্না। সেখানেই শোভনের হয়ে সওয়াল করছেন কল্যাণ।

Advertisement

গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে জোরদার সওয়াল করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়কে ‘প্রভাবশালী’ বলে কাঠগড়ায় তোলেন কল্যাণ। তাঁর দাবি, “রত্না শুধু ড্রামা করে। তাঁর জন্যই নিম্ন আদালতে বিচ্ছেদ মামলা এগোচ্ছে না। সেখানে প্রভাব খাটাচ্ছেন বিধায়ক। বিচারক আদালতে আসতে বললেও আসে না।” বিচারপতির উদ্দেশে‌ রত্না সম্পর্কে বর্ষীয়ান আইনজীবী আরও বলেন, “একজন বিধায়কের মুখের কী ভাষা জানেন না! সেটা আদালতে বলতে পারব না। স্বামী ব্যর্থ হলে, আদালতে আসুন। মামলা টেনে নিয়ে যাচ্ছেন কেন। স্ত্রী হলেই কি অধিকার বেশি থাকতে হবে? যদি খুব বড় সাক্ষী হয়, তাহলে কেন সে সাক্ষ্য দিতে আসে না?”

শুধু রত্না নয়, একইসঙ্গে বেহালা পূর্ব বিধায়কের বাবা দুলাল দাসকেও একহাত নিয়েছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শুধু রত্না কেন, আমি এঁদের পরিবারের ইতিহাস-ভূগোল আমি জানি। বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করতে পারেন আর আদালতে আসতে বললেই বলেন, ‘আমার ৭০ বছর বয়স। কীভাবে যাব?’ এদিকে উনি মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান।” তিনি আরও বলেন, “আরে আমি ৬৯ আর ওর বাবা দুলাল দাসের বয়স ৭০ বছর। তবে আমার থেকেও বেশি কালারফুল।” এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পালটা সংবাদমাধ্যমে জবাব দেন রত্না। সেই মন্তব্যকেই ‘হুমকি’ বলে দাবি করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement