রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: কাগজপত্র হোক কিংবা জামাকাপড়, একবার ইঁদুর হানা দিলেই সর্বনাশ। সাধের জিনিস দফারফা হয়ে যায় চোখের নিমেষে। এখন ঠিক এই সমস্যায় মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি কার্যালয়। ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে নাস্তানাবুদ বিজেপি (BJP) নেতারা।
বিধানসভা ভোটের আগে হেস্টিংসের ঝাঁ চকচকে বিল্ডিংয়ের চারটি ফ্লোর নিয়েছিল বিজেপি। যাবতীয় কাজ হচ্ছিল সেখান থেকেই। কিন্তু নির্বাচনে ভরাডুবির পর হেস্টিংস ছেড়ে ফের মুরলীধর সেন লেনে ফিরেছে বিজেপির সদর কার্যালয়। সেখানে মোট দুটি বিল্ডিং রয়েছে। তাতে রয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder), বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), দিলীপ ঘোষ ও অমিতাভ চক্রবর্তীর ঘর। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ঘর রয়েছে। দলের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয় সেখানে। স্বাভাবিকভাবেই বহু নেতা-কর্মীর যাতায়াত নিয়মিত লেগে রয়েছে। সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছে ইঁদুর! যার জেরে মাথায় হাত নেতা-কর্মীদের।
কার্যালয়ে দলের কাজে ব্যস্ত নেতারা। হঠাৎ নাকে আসছে দুর্গন্ধ। শুরু হচ্ছে তল্লাশি। দেখা গেল কাগজ পত্রে ভরা আলমারির নিচে পড়ে রয়েছে মরা ইঁদুর! আবার কোথাও বহুদিন ধরে রাখা আছে কাগজপত্র। প্রয়োজন না পড়ায় হয়তো দীর্ঘদিন সেখানে হাত পড়েনি। সেসব বের করতেই মাথায় হাত। ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে সেগুলির অবস্থা দফারফা। ইঁদুরের দাপাদাপিতে কার্যত নাজেহাল বিজেপি নেতারা। কাগজপত্র বাঁচানো রীতিমতো দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে।
তবে দলের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ইঁদুর তাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে সমস্যা না মেটা পর্যন্ত স্বস্তি নেই নেতাদের। উল্লেখ্য, মুরলীধর সেন লেনের বিজেপি কার্যালয়টি প্রায় ১০০ বছরের পুরনো। নিয়মিত সাফাই হলেও কাগজ পত্রের স্তুপ রয়েছে। সেই কারণেই দৌরাত্ম্য বেড়েছে ইঁদুরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.