Advertisement
Advertisement

Breaking News

আরজি কর

মর্গে মৃতদেহের দুটি চোখ খুবলে খেল ইঁদুর! ধুন্ধুমার আরজি কর হাসপাতালে

গভীর রাত পর্যন্ত হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকেরা।

Rat eats two eye of dead body at morge of RG Kar Hospital
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:August 20, 2019 8:58 am
  • Updated:August 20, 2019 3:17 pm  

স্টাফ রিপোর্টার:  ময়নাতদন্তের জন্য রাখা শবদেহের চোখ খুবলে খেয়েছে ইঁদুর। এই অভিযোগে সোমবার রাতে মর্গের কর্মীদের আটকে বিক্ষোভ দেখাল মৃতের পরিবার। উত্তাল উত্তর কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ। টালা থানা ঘেরাও করেও বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজনেরা।  বিক্ষোভের মুখে গাফিলতির কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মৃতের শরীরের নকল চোখ বসিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ থেকে চোখ কীভাবে উধাও হল? তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

[আরও পড়ুন: পুলিশের ‘মার খেয়ে’ হাজতে আংশিক সময়ের অধ্যাপকরা, বেতন বাড়ালেন মমতা]

মৃতের নাম শম্ভুনাথ দাস (৬৯)। বাড়ি, পাইকপাড়ায়। ১৫ আগস্ট রাস্তায় পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পান শম্ভুনাথবাবু। তাঁকে ভরতি করা হয় আরজি কর হাসপাতালে। গত রবিবার দুপুরে মারা যান তিনি। নিয়ম মেনে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয় আরজি কর হাসপাতালে। পরিবারের লোকেদের দাবি,  ময়নাতদন্তের পর সোমবার যখন তাঁদের হাতে দেহ তুলে দেয় কর্তৃপক্ষ, তখন দেখা যায় মৃতের দুটি চোখ উধাও! মর্গের এক কর্মী  জানান, ইঁদুরে খুবলে খেয়ে নিয়েছে চোখ। আর তাতেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। তাঁরা দাবি তোলেন,  মৃতের চোখে কোথায় গেল, তা লিখিতভাবে স্পষ্ট করে জানাতে হবে আরজি কর হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তা না হওয়া পর্যন্ত মৃতদেহ নেবেন না তাঁরা। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মর্গের এক কর্মীকে আটকে রেখেছিলেন মৃতের পরিবার লোকেরা। সোমবার গভীর রাতে চলে বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত টালা থানা খবর দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. শুদ্ধোদন বটব্যাল জানিয়েছেন, “ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টি অনুসন্ধান করব। মর্গে ইঁদুর থাকতেই পারে। অস্বাভাবিক কিছু নয়। নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলা যাবে না।”

[ আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে সর্বক্ষণ ছেলের পাশে মা, আরসালানকে সান্ত্বনা পরিবারের] 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement