গোবিন্দ রায়: বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে ফের মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC)। সোমবার জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের করা বলা হয়েছে, নিয়ম না মেনেই বগটুইয়ের (Bagtui Incident) ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন রাজ্য। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে দেওয়া হয়েছে চাকরিও। এভাবে সাক্ষীদের প্রভাবিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগনামায় উল্লেখ। এ নিয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এনিয়ে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ হাই কোর্টের। ২৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত ২১ মার্চ রাতে রামপুরহাটের (Rampurhat) পূর্বপাড়ায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে বোমা মেরে খুনের অভিযোগ ওঠে। এর পরপরই বগটুই গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুড়ে মৃত্যু হয় ৭ জনের। ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। ঘটনার তিনদিন পর ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দলের স্থানীয় নেতা আনারুল হোসেনকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। বাড়ি পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির একজনকে সরকারি চাকরির কথা জানান। দ্রুতই তাঁদের নিয়োগপত্রও তুলে দেওয়া হয়।
আর এভাবে রাজ্যের তরফে আর্থিক সাহায্য নিয়ম মেনে হয়নি। এই অভিযোগ তুলে সোমবার হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা গ্রহণ করে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বগটুইতে আর্থিক সাহায্য এবং চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে রাজ্যের জবাব তলব করল। আদালতে দায়ের করা মামলায় অভিযোগ, সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা হয়েছে এই ক্ষতিপূরণ ও চাকরির মাধ্যমে। হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য ২ সপ্তাহ সময় বরাদ্দ করেছে উচ্চ আদালত। পরবর্তী শুনানি ২৬ জুলাই।
অন্যদিকে, বগটুই গ্রামে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল দম্পতি সাজিদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী লিলি খাতুনের। এঁদের রাজ্য সরকারের তরফে পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা এবং একটি করে চাকরি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার সাজিদুরের আত্মীয় কাজল মোল্লা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ করেন, লিলি খাতুনের জন্য কোনও আর্থিক সাহায্য বা চাকরি মেলেনি। এর বিহিত চেয়েছেন তিনি। এদিকে, বগটুই কাণ্ডে ধৃত ২ নাবালককে এদিন জামিনে মুক্ত করে দিয়েছে সিউড়ি জুভেনাইল কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.