Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ram Navami:

রামনমবীতে প্রশাসনের প্রস্তুতি নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর, ‘প্ররোচনা রুখতে প্রস্তুত’, পালটা দিল তৃণমূল

শুভেন্দুদের রুখতে রাস্তায় থাকবে পুলিশ, বলছেন কল্যাণ।

Ram Navami: Suvendu Adhikari attacks TMC, gets retorted
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 5, 2025 9:30 pm
  • Updated:April 5, 2025 9:30 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রামনমবীতে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয়, সেটা নিশ্চিত করতে শনিবার থেকেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে কড়া পুলিশি টহলদারি ও রুটমার্চ। ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। বস্তুত যে কোনও ধরনের অশান্তি রুখতে প্রস্তুত পুলিশ। এমনকী রামনবমীর দিন গোটা রাজ্যের উপর নজরদারি চালাতে ছুটির দিনও খোলা থাকছে নবান্ন। প্রশাসনের এই প্রস্তুতি নিয়েও কটাক্ষ করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর প্রশ্ন, হিন্দুদের রামনবমী ঘিরে এত রণং দেহী মেজাজ কেন? পালটা এসেছে তৃণমূলের তরফেও। শাসকদল বলছে, বিজেপির প্ররোচনা রুখতে পুলিশের রাস্তায় থাকা দরকার।

২০১৬ সালে বাংলায় রামনবমীর উদযাপনে জাঁকজমক যুক্ত হয়েছে। তার আগে রামনবমীর শোভাযাত্রা হত কিছু নির্দিষ্ট জায়গায়। কিন্তু গত ন’বছরে কলেবরে রীতিমতো বেড়েছে রামনমবী। এ বছর ১ কোটি হিন্দুকে পথে নামানোর টার্গেট নিয়েছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যে চেষ্টার কসুর করছেন না শুভেন্দু অধিকারী। শনিবারও রানাঘাটের সভা থেকে রীতিমতো ‘উসকানিমূলক’ ভাষণ দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, “মমতা সরকার হিন্দু বিরোধী সরকার। মোথাবাড়িতে হিন্দুরা আক্রান্ত হয়েছে, এখানে হতেও বেশি সময় লাগবে না। তাই সকল হিন্দুরা ঐক্যবদ্ধ হন।”

Advertisement

রানাঘাটবাসীর উদ্দেশে রামনবমীর শোভাযাত্রায় যোগদানের আহ্বান জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “মমতা সরকারের সঙ্গে সরাসরি লড়াই রাজ্যের হিন্দু সমাজের। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ছেলেদের নোটিশ পাঠাচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। বিজেপির যুব সংঘসেবকদের বন্ড সই করানো হচ্ছে। পাশাপাশি বলা হচ্ছে কিছু হলে এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একটা কথাই বলব এই সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে।” একা শুভেন্দু নন, বিজেপির অন্য নেতারাও রামনবমী পালনে রীতিমতো কোমর বেঁধে নেমে গিয়েছেন।

পালটা এসেছে শাসক শিবির থেকেও। বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা তথা শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “শুভেন্দুদের মতো কেউ যাতে প্ররোচনা দিতে না পারে, সেই প্ররোচনা রুখতেই পুলিশ রাস্তায় থাকবে।” তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কূণাল ঘোষ বলেন, “জোর করে কোনও জায়গায় অশান্তি করে রামনবমী পালন করা যায় না। আবার যদি কেউ নিয়ম মেনে পালন করতে চায় তাকে বাধা দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। দুটোই প্ররোচনামূলক। রামনবমী পালন করতে গিয়ে হিংসা ছড়ানো আর রামনবমী পালন করতে দেব না–দুটোই প্ররোচনামূলক। শান্তিতে যে যার কর্মসূচি করুক।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement