ফাইল ফটো
রিংকি দাস ভট্টাচার্য: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ হল ‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে এই তথ্যচিত্রটি। এই তথ্যচিত্রটি সেই সময়ের একটি উল্লেখযোগ্য দলিল। ফ্যাসিস্টদের ইতিহাসবিকৃতি ও উন্মত্ততার নিদর্শন এই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়েছে।
অভিযোগ, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও কারণ না দেখিয়ে কার্যত হুমকির সুরে প্রদর্শন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এটি ক্যাম্পাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর নির্লজ্জ আঘাত। অনেকদিনই কানাঘুষো চলছিল, কর্তৃপক্ষের অন্দরমহলে বিজেপির আনাগোনা চলছে। সেটা সম্ভবত সত্যি হতে চলেছে। প্রেসিডেন্সির ২০০ বছরের ঐতিহ্যের স্বার্থে, ক্যাম্পাসের দলমত নির্বিশেষে সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ দরকার হয়ে পড়েছে বলে মত ছাত্রছাত্রীদের। প্রসঙ্গত এর আগে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েও এই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া হয়।
‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্রটি বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও সেই জায়গায় রামের মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ নিয়ে তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হিন্দু পরিষদের ক্যাম্পেনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৯০ সালে আডবানীর রথযাত্রার কথাও বর্ণনা করা রয়েছে। এছাড়া বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি ভিডিও-ও রয়েছে সেখানে। ১৯৪৯ সালে মন্দিরের একটি ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে ভিডিওয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতে, মসজিদের মধ্যে হঠাৎই রামের মূর্তি দেখা গিয়েছিল। রাম আকাশ থেকে নেমে এসে মসজিদে উপস্থিত হয়েছিলেন।
তথ্যচিত্রে মুসলিম বাসিন্দাদের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারও রয়েছে। এছাড়া বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য পটবর্ধনের একটি সাক্ষাৎকারও রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, দরকার হলে তাঁরা জোর করে অযোধ্যা ছিনিয়ে নেবেন। আবার এও দেখানো হয়েছে, যারা রাম মন্দির নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে অযোধ্যায়, তারা রামের জন্মের তারিখও ঠিকমতো জানে না। এছাড়া তথ্যচিত্রে যেমন আটের দশকের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়েছে, তেমনই নাথুরাম গডসের হাতে মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু সংক্রান্ত ক্লিপিংসও দেখানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.