Advertisement
Advertisement
Rajib Banerjee-Kunal Ghosh

কুণাল ঘোষের বাড়িতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, আরও বাড়ছে ‘ঘর ওয়াপসি’র জল্পনা

উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Rajib Banerjee meets Kunal Ghosh at his home, deep hint to come back to TMC | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 12, 2021 6:01 pm
  • Updated:June 12, 2021 7:50 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মুকুল রায়, শুভ্রাংশু রায়ের পর একে একে ঘরের পথে পা বাড়াচ্ছেন আরও অনেকেই। এবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বাড়িতে গেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। সূত্রের খবর, বিকেলে কুণাল ঘোষের বাডিতে হাজির হন রাজীবষ। উভয়ের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা চলে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, তৃণমূলে ফিরতে চেয়েই কুণাল ঘোষের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে সখ্য বাড়াতে চাইছেন রাজীব। তবে এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে ফেরার পালা? কুণালের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের খবরে এই জল্পনা উসকেছে অনেকটাই।

সন্ধেবেলা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অবশ্য কুণাল ঘোষ নিজে এই সাক্ষাৎপর্বকে ‘সৌজন্য’ বলেই জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”রাজীবের এক আত্মীয় অসুস্থ। তিনি তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। আমাকে ফোন করে জানতে চাইলেন, আমি বাড়ি আছি কিনা। আমি বাড়ি ছিলাম, তাই তিনি এসেছেন। রাজনীতির কোনও আলোচনা হয়নি।” রাজীবেরও প্রায় একই বক্তব্য। বললেন, ”কুণালদার সঙ্গে অনেকদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আমি এখানে এসেছিলাম, তাই দেখা করেছি। এর মধ্য়ে অন্য কোনও প্রশ্ন ওঠার অবকাশ নেই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বৃত্তির অঙ্ক নিয়ে মতান্তর, ২৪ ঘণ্টা ধরে পড়ুয়াদের হাতে ঘেরাও KPC মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ]

বিধানসভা ভোটের আগে নিজের একাধিক ক্ষোভ নিয়ে কয়েক দফায় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের আলাপ-আলোচনার দলে থাকতে রাজি হননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির পথে পা বাড়িয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিধানসভা থেকে বেরনোর সময় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিশাল ছবি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ”নেত্রী সবসময় শ্রদ্ধার। তাঁর আশীর্বাদ সঙ্গে রাখলাম।” এরপর চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি উড়ে গিয়ে অমিত শাহর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্য়ের প্রাক্তন বনমন্ত্রী। নিজের এলাকা ডোমজুড় থেকে বিজেপির প্রার্থীও হন। কিন্তু ভোটযুদ্ধে সফল হতে পারেননি। হেরে গিয়েছেন নিজের এলাকায়। তারও আগে অবশ্য রাজীবের এই দলবদলের সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে এলাকাবাসীই তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। ডোমজুড়- সহ একাধিক এলাকায় তাঁর বিরুদ্ধে পোস্টার দেখা গিয়েছিল। 

তারপর ভোটে হারের পর থেকেই তৃণমূলে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার নানা পোস্টে। দিন কয়েক আগেই লিখেছিলেন,  “সমালোচনা তো অনেক হল। মানুষের বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালভাবে নেবে না। আমাদের সকলের উচিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে কোভিড (COVID-19) ও ইয়াস- এই দুই দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলার মানুষের পাশে থাকা।” অর্থাৎ বিভিন্ন ইস্যুতে লাগাতার রাজ্যের সমালোচনা করা এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কেন্দ্রের নেওয়া পদক্ষেপে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন রাজীব।

[আরও পড়ুন: বিধায়করা তো গরু-ছাগল নয়! দলে ভাঙন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দিলীপ]

তার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই মুুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরা। বঙ্গ রাজনীতির অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এই ঘটনা একাধারে বহু সম্ভাবনা উসকে দিয়েছিল। এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়-সহ আরও বেশ কয়েকজন ফিরতে চান তৃণমূলে। যদিও দলত্যাগীদের দলে ফেরানো নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর কড়া বার্তা ছিল, ”নিম্নরুচির গদ্দারদের ফেরাব না।” অর্থাৎ ভোটের প্রচারে যাঁরা দলবদল করেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসায় লিপ্ত হয়েছিলেন, হীন রুচির পরিচয় দিয়েছিলেন, তাঁদের ‘নো এন্ট্রি’। রাজীব কি সেই দলে পড়েন? উত্তর মিলবে শিগগিরই। 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement