রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতাঃ পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে চলছে জোর জল্পনা। এই ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যেই মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে উপ-নির্বাচন। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দল এই কেন্দ্রে ঘোষণা করেছে তাদের প্রার্থী। করেনি কেবল বিজেপি। তবে সূত্রের খবর, মহেশতলা উপ-নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হতে পারেন দলের সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক।
[ভাগাড়ের মাংস কি KFC-তেও? ধর্মতলার বিপণিতে হানা পুরসভার]
আদৌ কি ১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট অনুষ্ঠিত হবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলে। এরই মধ্যে আগামী ২৮ মে দক্ষিণ ২৪-পরগণার মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচনের ঘোষণা করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের প্রার্থী হচ্ছেন, মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের শ্বশুর তথা ওই কেন্দ্রেরই প্রয়াত বিধায়ক কস্তুরী দাসের স্বামী দুলাল দাস। যিনি নিজে মহেশতলা পুরসভার পুরপ্রধানও বটে। প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট। তাদের প্রার্থী সিপিএমের প্রভাত চৌধুরী। সূত্রের খর, সিপিএম প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারে কংগ্রেস।
[দমদমে বালির স্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাতের দায়িত্ব নিল নবান্ন]
কিন্তু বিজেপি! তারা কী করবে? পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে এখনও মহেশতলা উপ-নির্বাচনে তাদের কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, ওই কেন্দ্রে পদ্ম পতাকা নিয়ে লড়াই করতে পারেন দলের সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক। যিনি আবার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির মহাপালকও বটে। আর ডায়মন্ডহারবার লোকসভার মধ্যেই রয়েছে মহেশতলা বিধানসভা কেন্দ্র। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী যেহেতু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্থির করেন, তাই সেখান থেকে কোনও সবুজ সংকেত না পেলে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
[রাস্তা বন্ধ করে মিটিং-মিছিল নয়, নিষেধাজ্ঞা হাই কোর্টের]
প্রশ্ন উঠছে, যখন সব দল তাদের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে ঘোষণা করে দিয়েছে, তখন কেন এত পিছিয়ে পদ্ম শিবির? রাজনৈতিক মহল বলছে, এটা নতুন নয়। প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে এর আগে নোয়াপাড়া বিধানসভা উপ-নির্বাচন এবং উলুবেড়িয়া লোকসভা উপ-নির্বাচনেও একই কায়দায় ‘নাটক’ করেছিল পদ্ম শিবির। তাই এটা বর্তমানে ট্রেন্ডে পরিণত করেছে গেরুয়া শিবির, এমনটাই মোট রাজনৈতিক মহলের।
অন্যদিকে ভাগাড়ের মাংস নিয়ে বৃহস্পতিবার পথে নেমেছিল রাজ্য বিজেপি। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবশ্রী চৌধুরির মতো নেতাকে সামনে রেখে কলকাতা কর্পোরেশন অভিযান চালিয়েছিল গেরুয়া শিবির। প্রতিবাদের মূল বিষয় ছিল, শহরের রেস্তরাঁ ও হোটেলগুলিতে ভাগাড়ের মাংস প্রতিহত করতে ব্যর্থ পুরসভা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.