Advertisement
Advertisement

কাটছে অকাল বর্ষণের তাণ্ডব, বিকেলের দিকে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা

উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা।

Rain relief for Kolkata, predicts MeT

ফাইল ছবি।

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:February 28, 2019 10:12 am
  • Updated:February 28, 2019 10:12 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভরা বসন্তে বর্ষার আমেজ। তাতেই মুশকিলে পড়েছে কলকাতা। গত কয়েকদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জেরে শহর ও শহরতলীতে জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ২০১৬ সালের পর ফেব্রুয়ারি মাসে এমন ভারী বর্ষণের মুখোমুখি হয়নি কলকাতা। তবে এবার স্বস্তির আশ্বাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। জানা গিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেলের দিক থেকে কাটবে মেঘ। ফের বসন্তের আমেজ উপভোগ করতে পারবে শহরবাসী।

বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকবে। বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৬৮.২ মিলিমিটার। কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে বিকেলের দিক থেকে কমবে বৃষ্টি। আকাশ মেঘমুক্ত হবে। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা নামবে। কিন্তু পারদের সেই পতন কড়া শীতকে ফেরাতে পারবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদরা। কারণ, যে নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি বসন্তে অকালবর্ষণের জন্য দায়ী, সেটি এদিনই দুর্বল হয়ে পড়ছে। তবে দক্ষিণবঙ্গকে স্বস্তির বাণী শোনালেও উত্তরবঙ্গকে কিন্তু এখনও সবুজ সংকেত দেয়নি হাওয়া অফিস। বরং বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা।

Advertisement

কলকাতা নিরাপদ, শালওয়ালাদের ভাবাচ্ছে কাশ্মীর ফেরার পথ ]

বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তিন ডিগ্রি কম! সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে চার ডিগ্রি নেমে দাঁড়ায় ২৭.৪ ডিগ্রি। মেঘ-বৃষ্টির দৌলতে সকাল থেকে তাপমাত্রা বাড়তে পারেনি। তার ফলে দিনভর শীত-শীত ভাব মালুম হয়েছে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই আকাশ ঢেকেছিল ঘন কালো মেঘে। সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। দমকা হাওয়ার পাশাপাশি শহর কেঁপেছে বাজ পড়ার শব্দেও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ সাময়িক পরিষ্কার হলেও বিকেলে ফের কালো করে আসে মহানগরের আকাশ। সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। বিকেল অবধি শহরে বৃষ্টি হয়েছে ৫৯.৯ মিমি।  

এদিকে বসন্ত ও বর্ষণের যুগলবন্দিতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ডাক্তারবাবুরা। ওঁদের ব্যাখ্যা, শীত-বসন্তের এই সন্ধিক্ষণে ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে। শরীরে বাসা বাঁধে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতো ভাইরাসবাহিত রোগ। তাপমাত্রা যত বাড়বে, রোগ-জীবাণুর বাড়বাড়ন্ত তত কমবে। কিন্তু  আবহাওয়ার এহেন ‘ঠান্ডা মেজাজ’ দেখে জীবাণুরা আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে।

প্রেসিডেন্সি ও দমদম জেল থেকে পাক-বন্দিদের সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement