সুব্রত বিশ্বাস: ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর খবরের জের। হাওড়া (Howrah) স্টেশনের নতুন ও পুরনো দুটি স্টেশনের কনকোর্স এরিয়া ঘিরে যে অজস্র স্টিলের বেঞ্চ বসানো হয়েছিল, তা সরানোর নির্দেশ দিল রেল। এবিষয়ে ডিআরএম (DRM) ইশাক খান বলেন, “পুরনো স্টেশনের কনকর্সের মাঝে ঘেরা অংশে বেঞ্চ বাড়িয়ে অন্য সব বেঞ্চ তুলে ফেলতে বলা হয়েছে। ২২ ও ২৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বেঞ্চ বসাতে বলা হয়েছে।”
সম্প্রতি হাওড়া স্টেশনের নতুন ও পুরনো দু’টি বিল্ডিংয়ের কনকোর্স এরিয়া ঘিরে দিয়ে বসানো হয় অজস্র স্টিলের বেঞ্চ। রেল যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা বললেও এই বেঞ্চ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের যাত্রী চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি করবে বলে মনে করেছিলেন কর্মীরা। এটা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বলে বর্ণনা করে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। “খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে খুলে ফেলা হবে,” এমনই আশ্বাস দিয়েছিলেন হাওড়ার ডিআরএম। সেই খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ। এরপর মঙ্গলবার স্টেশন পরিদর্শন করেন ডিআরএম ইশাক খান। বেঞ্চগুলি খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
আগে স্টেশনে আড়াইশো সিট ছিল, পরে তা বাড়িয়ে ৮০০ করা হয়। লাগানো ফের তুলে ফেলায় অহেতুক টাকা নষ্ট হচ্ছে বলে এদিন অভিযোগ করেছে কর্মী সংগঠন। তাঁদের দাবি, দুঃসময়ে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে রেল। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, “স্টেশনগুলি তুলে দেওয়া হবে রেলওয়ে স্টেশন ডেভলপিং অথরিটির হাতে। তাঁরা স্টেশন নিয়ে পুরনো সব কিছু ভেঙে নিজেদের মত করে করবে। তবে অহেতুক এই কাজ করে রেলের ক্ষতি করা কেন?” পূর্ব রেলের মেনস কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনোদ শর্মা বলেন, “রেলকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কারণেই সাজানোর কাজ চলছে। ভাঙাচোরা থাকলে নেবে না, সেই আশঙ্কা রয়েছে রেলের।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.