সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য সরকারের ঢিলেমিতে থমকে রয়েছে মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির কাজ। এই অভিযোগে এবার রাজ্যকে পালটা চিঠি দিল রেল। প্রয়োজনীয় বেশ কিছু তথ্য রাজ্যের থেকে চেয়েও না মেলায় ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেই ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ। তার ফলে বেহালার বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। কোনও গন্তব্যে পৌঁছতে ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাঁদের। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এই ব্রিজের কিছুটা অংশের নিচে রয়েছে রেললাইন। ওই অংশে কোনও কাজের জন্য ছাড়পত্র লাগবে রেলের। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। নবান্ন সূত্রে খবর, ব্রিজের ওই অংশের প্রস্তাবিত নকশা মাসদেড়েক আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে নকশা হাতে পাওয়ার পরেও কাজের জন্য এখনও ছাড়পত্র পায়নি রাজ্য সরকার।
যার ফলে থমকে গিয়েছে ভেঙে যাওয়া মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির কাজ। নির্ধারিত ডেডলাইন অনুযায়ী সেপ্টেম্বরেও শেষ করা যায়নি ব্রিজের কাজ। এখনও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বহু মানুষ। এদিকে, আবার ক্রমশই এগিয়ে আসছে গঙ্গাসাগর মেলা। ডিসেম্বরের ওই পুণ্যলগ্নে রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরের বহু মানুষই ভিড় জমাবেন গঙ্গাসাগরে। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চলতি বছর ভোগান্তির শিকার হতে হবে পুণ্যার্থীদেরও।
তাই সকলের কথা মাথায় রেখে দিনকয়েক আগে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চিঠিতে লিখেছিলেন, গঙ্গাসাগর যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম মাঝেরহাট। গতবছর তা ভেঙে গিয়েছে। রাজ্য সরকার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্রিজ তৈরির কাজ করছে। পুজোর আগে কিংবা পরেই ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু রেলের তরফে সবুজ সংকেত না মেলায় কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। তারই পালটা জবাবে রাজ্য সরকারকে রেলের তরফে চিঠি দেওয়া হয়। তাতেই উল্লেখ করা হয়েছে, শুধুমাত্র রাজ্যের ঢিলেমিতেই মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরির কাজ থমকে রয়েছে। নকশা, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বেশ কিছু তথ্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছিল বলেই দাবি রেলের। কিন্তু সেই সংক্রান্ত তথ্য এখনও রাজ্যের তরফে রেলকে দেওয়া হয়নি বলেই মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরিতে ছাড়পত্র মিলছে না বলেই দাবি রেলের। রাজ্য-রেলের টানাপোড়েন শেষে কবে আদৌ মাঝেরহাট ব্রিজ তৈরি হয়, সেই অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন সাধারণ মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.