সুব্রত বিশ্বাস: টিকিট চেকিংয়ে হাওড়াকে সেরার শিরোপা দিল পূর্ব রেল। ক’দিন যেতে না যেতে যাত্রী হয়রানি থেকে বেআইনিভাবে যাত্রীদের থেকে টাকা নেওয়া, পণ্যের থেকে তোলা আদায়ে একের পর এক উঠে এল অভিযোগ। ডিআরএম ইশাক খান বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ এলেই তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি কলেজ পড়ুয়াদের টিকিট থাকা সত্ত্বেও হয়রানি ও মারধরে অভিযুক্ত টিকিট পরীক্ষকদের ধরতে রীতিমতো ‘টিআই প্যারেডের’ ব্যবস্থা করেছে হাওড়ার কমার্শিয়াল বিভাগ। কিন্তু তাতেও দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন এক শ্রেণির টিকিট পরীক্ষকই। অভিযোগ, ঘটনার সময়ে স্টেশনে কর্তব্যরত সবাইকে প্যারেডে ডাকার কথা অথচ হাওড়ার বাইরে ডিউটি থাকা সত্ত্বেও এক শ্রেণির টিটিই বরাবরই হাওড়াতেই কাজ করেন। কিন্তু তাঁদের টিআই প্যারেডে ডাকা হয়নি। শুধু তাই নয়, বাইরের স্টেশনে কাজ দেখিয়ে টিএ নিচ্ছেন অথচ হাওড়া স্টেশনেই দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছেন এক শ্রেণীর টিটিই। রেলকর্মীদের একাংশের দাবি, যেসব টিটিই বেআইনিভাবে হাওড়া স্টেশনে ডিউটি করছেন, তাঁদের অত্যাচার সীমাহীন। কিন্তু কমার্শিয়াল বিভাগের কর্তাদের তাঁদের আড়াল করছেন।
রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে টিকিটি পরীক্ষকরা অভিযোগ করেন, টিটিই আবিদ ওসমান, জে কে সামন্ত বাইরের স্টেশনে ডিউটি দেখিয়ে টিএ তুলছেন। কিন্তু হাওড়া স্টেশন ছেড়ে বাইরেই যাচ্ছেন না। সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখলেই প্রমাণ মিলবে। টিকিট পরীক্ষকদের অভিযোগ, সরকারি অর্থ এভাবে অপব্যয় হচ্ছে, অথচ প্রমাণ পেয়েও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কয়েক বছর আগে যাত্রীদের অভিযোগে বর্ধমান, ব্যান্ডেলে বদলি হয়েও আবার প্রভাব খাটিয়ে হাওড়াতেই চলে আসেন অভিযুক্ত টিকিট পরীক্ষকরা। শুধু তাই নয়, টিকিট পরীক্ষকদের নিয়ন্ত্রণকারী সিনিয়র ডিসিএমও রেলে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে স্থায়ীভাবে হাওড়া স্টেশনেই কাজ করে চলেছেন বলে অভিযোগ। ডিআরএম ইশাক খান বলেন, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা অবশ্যই নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.