সুব্রত বিশ্বাস: স্বচ্ছতা নয়, নোংরার আবর্তে মোড়া রেল। সপ্তাহের প্রথম দিনে হাওড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে এমনই অভিযোগ তুললেন যাত্রীরা। অভিযোগ নিয়ে সরব হন মহিলা যাত্রীরাও। দুপুর ২.৩৮ মিনিট নাগাদ ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ডাউন ব্যান্ডেল লোকাল এসে ঢোকে। ট্রেনটি থেকে নামেন গার্ড। প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ওই ট্রেনেরই দু’টি কামরার ফাঁকে তিনি প্রস্রাব করতে থাকেন। এই দৃশ্য নজরে পড়তেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা।
সব মহিলা তখনও কামরা থেকে নেমে যাননি। সেই অবস্থায় গার্ডের এই কীর্তি রীতিমতো লজ্জার বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা। তাঁদের কথায়, গার্ডের মতো এক দায়িত্ববান পদের কর্মীর রুচিবোধ যদি এমনই হয়, তখন আর কাকে কী বলবেন। কিছুদিন আগে এক চালকই ট্রেন দাঁড় করিয়ে তার সামনে প্রস্রাব করেন। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়। একের পর এক রেলকর্মীদের এই কাজকর্মে হতবাক যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, স্টেশনের বাইরে না জেনে কোনও যাত্রী এই ধরনের কাজ করলে তাঁদের ধরেন আরপিএফ ও জিআরপি। রেল আইনের ১৪৫ ধারা প্রয়োগ করা হয়। জিআরপি ধরলে পুলিশ অ্যাক্টের ৩৪ ধারা প্রয়োগ করে। জরিমানা নেওয়া হয় কমপক্ষে ১০০ টাকা। সুযোগ বুঝে আরও অনেক বেশি আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। তবে এই ধরনের কাজে যুক্ত রেলকর্মীদের বিরুদ্ধে কেন কোনও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? প্রশ্ন সকলের।
পূর্ব রেলের সিপিআরও নিখিল চক্রবর্তী জানান, স্টেশন নোংরা করলে তাঁর জরিমানা অবশ্যই হবে। তিনি যাত্রী বা রেলকর্মী যেই হোক সবার জন্য একই আইন। তবে এদিনের এই ঘটনার নিন্দা করেছেন রেলের আধিকারিকদের একাংশ। তাঁদের কথায়, গার্ড একজন দায়িত্ববান কর্মী। তাঁর উপর পুরো ট্রেনের দায়িত্ব। তাঁর কাছে এমন আচরণ অনভিপ্রেত। হাওড়া স্টেশনে শৌচালয়ের চরম অভাবে অনেকেই এই পন্থা নেন বলে যাত্রীদের অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.