Advertisement
Advertisement

Breaking News

টালা ব্রিজ

টালা ব্রিজ নিয়ে রেল-রাজ্য বৈঠক, টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত

টালা ব্রিজ তৈরির সময় বিকল্প পথ হিসাবে ব্যবহৃত হবে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড লেভেল ক্রসিং।

Rail, WB govt makes joint task force for Tala Bridge demolition

ফাইল ছবি

Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 2, 2020 3:46 pm
  • Updated:January 2, 2020 3:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝেরহাট ও টালা ব্রিজ নিয়ে রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক রাজ্যের। দু’পক্ষের বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে চার সদস্যের টাস্ক ফোর্স। যাতে থাকবেন রেল এবং পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা। ঠিক সময়ে টালা ব্রিজের কাজ শেষ করতেই বৈঠকে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ব্রিজ ভাঙার সময় গাড়ি যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ হিসাবে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড লেভেল ক্রসিং ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা। তবে ওই লেভেল ক্রসিংয়ের জন্য রেলকে ১৪ কোটি টাকা দেবে রাজ্য। তবে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি রেল। আগামী তিনদিনের মধ্যে দিল্লি থেকে অনুমোদন আসার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে রেল কর্তৃপক্ষ।

টালা ব্রিজ তৈরি করার নির্ধারিত সময় ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। যদিও তার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের গড়িমসিকেই দায়ী করেছে রাজ্য সরকার। রেলের দাবি, টালা ব্রিজের নকশা সঠিক নয়। নকশা বদল নিয়ে বৃহস্পতিবার রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। রেলের দাবি, টালা ব্রিজের যে নকশা তৈরি হয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ শেষ হতে সময় লাগবে তিন বছরেরও বেশি সময়। তাই রেলের দাবি নকশা বদল করতেই হবে। এদিনের বৈঠকে নকশা বদল নিয়েও রেল আধিকারিক এবং মুখ্যসচিবের মধ্যে একপ্রস্থ আলোচনা হয়। রেল এবং রাজ্য সরকার দু’পক্ষের সম্মতিতেই টালা ব্রিজ তৈরির প্রসঙ্গে চার সদস্যের একটি টাস্ক ফোর্সও তৈরি করা হয়। ওই টাস্ক ফোর্সে থাকবেন পূর্তদপ্তর এবং রেলের আধিকারিকরা। তাঁরাই সঠিক সময়ে ব্রিজের কাজ কীভাবে শেষ করা যায়, তা দেখভাল করবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছাদের পাঁচিলে মিলল নখের আঁচড়, যাদবপুরে বধূমৃত্যুর ঘটনায় আরও জটিল রহস্য]

টালা ব্রিজে ৪ জানুয়ারি থেকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পরেরদিন থেকে শুরু হবে ব্রিজ ভাঙার কাজ। সেদিন সকাল থেকেই মোট ৪২টি রুটের বাস পরিবর্তিত পথ দিয়েই চলবে। বারাকপুরের দিক থেকে কলকাতাগামী সমস্ত বাস বিটি রোড থেকে চিড়িয়া মোড়, দমদম সেভেন ট্যাঙ্ক হয়ে নর্দার্ন অ্যাভিনিউ হয়ে পাইকপাড়া মিল্ক কলোনি হয়ে বেলগাছিয়া সেতু হয়ে শ্যামবাজারের রাস্তা দিয়ে যাবে। পাশাপাশি বারাকপুরের দিকে যাওয়া বাসগুলি শ্যামবাজার থেকে ভূপেন বোস অ্যাভিনিউ ধরে রাজবল্লভ পাড়ার পর লকগেট ব্রিজ ধরে চুনিবাবু বাজার, চিড়িয়া মোড়, বিটি রোডে এসে উঠবে। টালা ব্রিজ বন্ধ থাকাকালীন ৪৩ এবং ২৪২ রুটের বাসগুলি চিৎপুর ব্রিজ ব্যবহার করতে পারবে। এছাড়া ৭৮, ৭৮, ৭৮/১, ২০১ ,২২২, ২৩০, ২৩৪, ৩৪বি, ৩৪সি, ৩০এ, ৩২এ মিনিবাসগুলি পাইকপাড়া হয়ে বেলগাছিয়া ব্রিজ ধরে শ্যামবাজার যাবে। টালা ব্রিজ দিয়ে বন্ধ হয়ে যাবে ছোট গাড়ির যাতায়াতও। যানজট এড়াতে বালি ব্রিজের পরিবর্তে ওই গাড়িগুলিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ব্যবহার করতে দেওয়া হবে। টালা ব্রিজ বন্ধ থাকাকালীন লরি বিটি রোডের পরিবর্তে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে যশোর রোড ধরে যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement