অর্ণব আইচ এবং রমেন দাস: দেশের উপকূল নিরাপত্তায় আরও শক্তিশালী হল উপকূলরক্ষী বাহিনী! উপকূল অঞ্চলের অপরাধ রুখতে নতুন রাডার অপারেটিং স্টেশন থেকে শুরু করে একাধিক নয়া ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বাহিনী।
মঙ্গলবার হলদিয়ার হোভারক্রাফট বন্দরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর উত্তর পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার আইজি ইকবাল সিং চৌহান। তিনি জানান, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের এক্তিয়ারের মধ্যে যা যা রয়েছে সেটাই করছি। ক্রমশ জলদূষণ যেমন বাড়ছে, তেমনই সমুদ্রে অবৈধ কাজও বাড়ন্ত। ইকবাল সিং আরও বলেন, “মৎস্যজীবীরা আমাদের চোখ, কান। ওঁদের জন্য আমাদের কাজ কিছুটা সুবিধাজনক হয়। সব সময় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করি আমরা।”
এদিন সমুদ্রপথে মাদক পাচার সংক্রান্ত বিস্ফোরক তথ্য দেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার। তিনি জানান, গত পাঁচ বছরে ৬,৫০০ কোটি মূল্যের বেআইনি মাদকদ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেছে বাহিনী। গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রায় ২০ জন। সমুদ্রপথে বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেন ইকবাল। মাদক বাজেয়াপ্ত প্রসঙ্গে কমান্ডার জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাকিস্তান, আফগানিস্তান যোগ রয়েছে।
এদিন এরাজ্যের ফ্রেজারগঞ্জ, জুনপুট এবং ওড়িশার আরাখুডা ও চন্দ্রভাগায় নতুন রাডার স্টেশনের কথা জানান তিনি। ইকবাল সিং বলেন, “ফ্রেজারগঞ্জে ইতিমধ্যেই চলছে রাডার স্টেশনের কাজ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ঘটবে সব ক্ষেত্রেই। বাকিগুলোও চালু হওয়ার সম্ভাবনা আগামী আগস্টের মধ্যে।” অত্যাধুনিক ক্যামেরার ব্যবস্থা থাকছে এই স্টেশনে। এই স্টেশনগুলো মূলত জলদস্যু এবং উপকূলে বেআইনি কা্র্যকলাপের উপর নজর রাখবে। বঙ্গোপসাগরে বারবার ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধারকাজে চ্যালেঞ্জের কথাও বলেন আইজি ইকবাল সিং চৌহান। সাংবাদিক সম্মলনে ওঠে ভারতের উপকূলে চিনের আগ্রাসনের কথাও। যদিও কমান্ডার জানান, “এই বিষয়ে কিছু বলব না। তবে আমরা সবকিছু মোকাবিলা করতে সদা প্রস্তুত।” উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাজের ক্ষেত্রে হোভারক্রাফটের প্রয়োজনীয়তার কথাও মঙ্গলবার তুলে ধরেন কমান্ডার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.