অর্ণব আইচ: সঞ্জয় রায়ের মতো ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দির জেল থেকে আদালতে যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বুধবার একটি কালো কাচের উপর জালে ঢাকা বিশেষ গাড়ি করে সঞ্জয়কে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে শিয়ালদহ আদালত চত্বরে নিয়ে আসা হয়। গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমে সঞ্জয় ডান হাত ও তার পর বাঁ হাত ঠোঁটে ছুঁইয়ে ছোড়ার ভঙ্গি করে। এর পরই ফের ‘‘আমি নির্দোষ’’ বলতে বলতেই তাকে আদালতের ভিতরে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। এর পরই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে, সঞ্জয়ের এই ‘ফ্লাইং কিস’ কার উদ্দেশ্যে? কেনই বা তার এত বেপরোয়াভাব? আবার সন্ধ্যায় বিচারপর্বের শেষে অতি নিরাপত্তার মধ্যে তাকে গাড়িতে তোলার সময় সে চিৎকার করে বলে ওঠে, “আমার গাড়ি পাল্টানো হচ্ছে।”
আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনে সিবিআইয়ের মামলার বিচারপর্বের তৃতীয় দিনে শিয়ালদহ আদালতে এক মহিলা-সহ দুই চিকিৎসক পড়ুয়ার সাক্ষ্য নেওয়া হয়। সঞ্জয় রায়ের আইনজীবীরা তাঁদের ‘ক্রস’ করেন। বৃহস্পতিবার আদালতে তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। আদালত সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিচারপর্বে যে তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলা চিকিৎসক, যিনি নির্যাতিতার ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও একজন ভিডিও চিত্রগ্রাহক, যিনি নির্যাতিতার দেহের ভিডিও তুলেছিলেন ও একজন চিকিৎসক, যিনি সঞ্জয় রাই গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁকে পরীক্ষা করেন, আদালতে তাঁদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে সূত্রের খবর।
আদালতে চার্জ গঠনের দিন সঞ্জয় রায় প্রিজন ভ্যান থেকে চিৎকার করে সাফাই দেয় যে, তাকে ‘আসলদের বাঁচাতে’ ফাঁসানো হচ্ছে। সোমবার বিচারপর্বের প্রথম দিনের শুনানির পর শিয়ালদহ আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে করে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে নিশানা করে। ফের তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করতে থাকে। এর পরই তার নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.