Advertisement
Advertisement
R G Kar Doctor Murder

‘ভাইয়ের ফাঁসি হোক! ওই দেহ আমরা নেব না’, আর জি কর কাণ্ডে সাফ কথা অভিযুক্তের দিদির

অভিযুক্ত সঞ্জয়ের দিদি কী বলছেন?

R G Kar Doctor Murder: Accused Sanjay's Sister opens up

ফাইল ছবি

Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 12, 2024 8:49 am
  • Updated:August 13, 2024 3:57 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের উপর যৌন হেনস্থা ও খুনের ঘটনার রেশ আছড়ে পড়েছে দেশজুড়ে। ঘটনার সুবিচারের দাবিতে সোমবার থেকে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ফেডারেশন অফ রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল গোটা রাজ্য। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন অভিযুক্তের দিদি। তিনিও চাইছেন ভাইয়ের ফাঁসি হোক।

গুণধর ভাইয়ের সঙ্গে অনেক আগেই দূরত্ব তৈরি করে নিয়েছিলেন দিদি। আর জি কর কাণ্ডে ধৃত ভাইয়ের কঠোরতম শাস্তি চাইলেন সঞ্জয়ের দিদি পূজা রায়। এও বলেন, ফাঁসি হলে তার দেহও নেবেন না। আর জি করে (R G Kar) স্নাতকোত্তর পড়ুয়া চিকিৎসককে নৃশংসভাবে হত‌্যা (Doctor Murder) করার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয় রায়কে। সঞ্জয় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার ছিল। তার দিদিও কলকাতা পুলিশে কর্মরত। ভাইয়ের কুকর্মের প্রতিবাদের পাশাপাশি তার কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন দিদিও। সঞ্জয় বরাবরাই খারাপ ছেলে হিসাবে ঘরে ও বাইরে পরিচিত ছিল। তার কর্মকাণ্ডের জেরে তিতিবিরক্ত ছিলেন পরিবারের লোকজন। বিয়ের পর থেকে আলাদা থাকেন দিদি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: RG Kar কাণ্ড: লাগাতার অশান্তি থেকে চিকিৎসক খুন! অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের অপসারণ সময়ের অপেক্ষা]

এদিন তিনি বলেন, “ওকে নিজের ভাই বলে পরিচয় দিতেও লজ্জা লাগে। ওর এত কুকীর্তি যে বাধ্য হয়েই আমরা ওর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখিনি। আমরা বোনেরাই মায়ের দেখাশোনা করি।” তাঁর বক্তব‌্য, “ও ঘরেও থাকত না। আসত, যেত, যখন ইচ্ছে। নিজেই একদিন বলল, এই ঘরে আসব না, থাকব না। আর জি করে যে নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাতে ওর কঠোরতম শাাস্তি হওয়া উচিত। তবে সকলের কাছে একটাই অনুরোধ, আপনারা ওকে নিয়ে যা খুশি করুন, দয়া করে ওর দেহ আমাদের দেবেন না। ফাঁসি হলেও আমরা ওর দেহ নেব না। এরকম নোংরা মানুষের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখা যায় না।”

প্রসঙ্গত, সঞ্জয়কে নিয়ে তিতিবিরক্ত তার প্রতিবেশীরাও। দিনরাত মদ খেত। একের পর এক বিয়ে তার নেশা ছিল। সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় এলাকায় নিজেকে কলকাতা পুলিশে কর্মরত বলে পরিচয় দিত। অথচ তার পুলিশ দিদি জানতেন না ভাই কী কাজ করে। কোন থানায় কর্মরত। দিদি জানান, “ও বরাবরই বদমেজাজি ছিল। নিজের মর্জির মালিক। জিজ্ঞেস করলে তর্ক করত। কাউকে কিছু জানাত না। কী করে সে চাকরি পেল, কবে থেকে চাকরিতে যোগ দেয় তাঁরা কেউ জানেন না। সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে কলকাতা পুলিশের মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরত সঞ্জয়। ওই বাইক নিয়েও বাড়িতেও গিয়েছিল। বাইক কোথা থেকে পেল জিজ্ঞেস করলে বলেছিল, অফিস দিয়েছে।”

[আরও পড়ুন: সীমান্ত পেরিয়ে বাংলায় এসেও রক্ষা নেই, গ্রেপ্তার আওয়ামি লিগের ছাত্রনেতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement