ক্ষীরোদ ভট্টচার্য: আদালতের ধমক খেয়ে অবশেষে ছুটির আবেদন করতে বাধ্য হলেন আর জি কর মেডিক্যালের পদত্যাগী অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যভবনে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এদিন বেলা ৩ টের মধ্যে ছুটির আবেদন না করলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট।
আর জি কর হাসপাতালে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসকের যৌন নির্যাতন-খুনের ঘটনায় এবার আদালতের চাপের মুখে পদত্যাগী অধ্যক্ষ ডাঃ সন্দীপ ঘোষ। কীভাবে পদত্যাগের চারঘণ্টার মধ্যে নতুন পদে নিয়োগ? কেনই বা তাঁর বয়ান রেকর্ড হয়নি? এমনই একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) প্রধান বিচারপতি। তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, “কেন ওনাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছেন? কিছু একটা মিসিং আছে। আজ বিকাল তিনটের মধ্যে সন্দীপ ঘোষকে বলুন ছুটির আবেদন করে লম্বা ছুটিতে যেতে। নাহলে আমরা প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেব।”
এর পরই তড়িঘড়ি স্বাস্থ্যভবনে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেছেন ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা কৌস্তভ নায়েক জানিয়েছেন, “আদালতের নির্দেশ আমরা হাতে পাইনি। কিন্তু সন্দীপ ঘোষ নিজেই ছুটির আবেদন করেছেন। আমরা সেটা আলোচনা করে দেখছি।” প্রসঙ্গত, লাগাতার বিক্ষোভের জেরে সোমবার আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সন্দীপ ঘোষ। অধ্যক্ষের পাশাপাশি এদিন সন্দীপ ঘোষ অধ্যাপক হিসেবেও পদ ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে তাঁর ইস্তফা গৃহীত হয়নি। স্বাস্থ্যভবনের তরফে তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যালের (National Medical) প্রিন্সিপাল পদে বহাল করার কথা জানানো হয়। এ নিয়ে এদিন আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, “গতকাল (সোমবার) সকালে প্রিন্সিপাল পদত্যাগ করেছেন, বিকালেই তাকে নতুন দায়িত দেওয়া হয়েছে। এভাবেই তদন্ত হচ্ছে?” এসব শুনে প্রধান বিচারপতি কার্যত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.