গোবিন্দ রায়:হাঁসখালির নির্যাতিতার (Hanskhali Rape Case) পরিবারকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। সাক্ষীদেরও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া নির্যাতিতার পরিজনদের মানসিক এবং শারীরিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির।
প্রধান বিচারপতির নির্দেশ ২০১৮ সালের সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প (উইটনেস প্রোটেকশন প্রোগ্রাম) অনুযায়ী, যত দ্রুত সম্ভব নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। যত দিন না তা করা যাচ্ছে ততদিন রাজ্যকে নির্যাতিতার পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। পাশাপাশি রাজ্যকে নির্যাতিতার পরিজনদের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার দায়িত্ব নিতে হবে। নির্যাতিতার পরিজনদের প্রয়োজনে কাউন্সেলিং করাতে হবে। এদিকে, এদিন সিবিআই হাঁসখালি কাণ্ডের নির্যাতিতার প্রেমিক তথা তৃণমূল নেতার ছেলে সোহেল গোয়ালির বন্ধুদের দফায় দফায় জেরা করে।
উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল প্রেমিক সোহেল গোয়ালির জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিল হাঁসখালির কিশোরী। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সোহেল স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে। কিশোরীর পরিবারের দাবি, রাতে বাড়ি ফিরে আসার পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। ভোররাতে মৃত্যু হয় তার। জোর করে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই তার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বর্তমানে সিবিআই (CBI) এই ঘটনার তদন্ত করছে। পাশাপাশি বিজেপিও এই ঘটনায় একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করে। ওই কমিটির সদস্যরা বুধবার নাড্ডার (J P Nadda) হাতে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেন।
নাবালিকার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে নাকি তাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সন্দেহ প্রকাশ করা হয় ওই রিপোর্টে। বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর দাবি তাঁদের নির্যাতিতার মা-বাবা বলেন, “খুব অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে পাই। আমাদের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছিল। বন্দুক উঁচিয়ে ভয় দেখানো হয়েছিল।” পুলিশের তথ্য হস্তান্তরের উপরেই সিবিআইয়ের তদন্তের অগ্রগতি নির্ভর করছে বলেও দাবি বিজেপি নেত্রীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.