অর্ণব আইচ: ভারভারা রাও-সহ পাঁচ বুদ্ধিজীবীর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবিতে একদিনের অনশন বসছেন মাওবাদী বন্দিরা৷ বিভিন্ন জেলের মধ্যেই হবে এই অনশন কর্মসূচি৷ জানা গিয়েছে, যাঁরা অনশনে বসছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বিভিন্ন সময় কলকাতা পুলিশ অথবা রাজ্য পুলিশের হাতে মাওবাদী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
[শহরে ফের সোয়াইন ফ্লু-র থাবা, বেসরকারি হাসপাতালে মহিলার মৃত্যু]
শুক্রবার সারা দিনের জন্যই আলিপুর সেন্ট্রাল জেল, প্রেসিডেন্সি জেল ও হাওড়া জেলে মাওবাদী বন্দিরা অনশন করবেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি তেলুগু দীপক ওরফে ভেঙ্কটেশ্বর রেড্ডি, সুদীপ চোংদার, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, সন্তোষ দেবনাথ, শচীন ঘোষাল, মানিক মাহাতো। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি অখিল ঘোষ, দীপক কুমার, অনুপ রায়, সদানালা রামকৃষ্ণ, বিমল মল্লিক৷ হাওড়া জেলে বন্দি বরুণ শূর, অজয় দাস প্রমুখরা এই অনশনে শামিল হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। সেলের সামনেই অনশন করবেন তাঁরা। অনশনের পাশাপাশি শুক্রবার সারাদিন ধরে এই মাওবাদী বন্দিরা জেলে বসে স্লোগান দেবেন বলেও কারা দপ্তর সূত্রে খবর৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিয়ে বিশিষ্ট কবি, সমাজকর্মী ও বামপন্থী চিন্তাবিদ ভারভারা রাও-সহ সুধা ভরদ্বাজ, অরুণ ফেরেরা, ভের্নন গঞ্জালভেস এবং অরুণ নওলাখাকে গ্রেপ্তার করে পুনে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভীমা-কোরেগাঁও হিংসায় জড়িত থাকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে নরেন্দ্র মোদিকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে৷ পাশাপাশি আরও অভিযোগ করা হয়েছে মাওবাদী কাজকর্মে যুক্ত থাকার এবং এই সংগঠনকে অর্থ সাহায্য দেওয়ার৷ এরপরেই সরব হয়েছে দেশের বিশিষ্ট মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ৷ তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ যাঁরাই প্রতিবাদ করছে তাঁদেরই জেলে ভরা হচ্ছে৷ কেবলমাত্র সন্দেহের বশে বুদ্ধিজীবীদের গ্রেপ্তারির
প্রতিবাদে আওয়াজ উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও৷ মঙ্গলবার থেকেই ফেসবুক, টুইটারে ট্রেন্ডিং হচ্ছে #MeTooUrbanNaxal৷
[মেট্রো যাত্রীদের জন্য সুখবর, এবার স্টেশনেই শৌচালয়]
পাশাপাশি, এই ঘটনার প্রতিবাদে মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে৷ বৃহস্পতিবার রায় দানে পাঁচ বুদ্ধিজীবীকে নিজেদের বাড়িতেই নজরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ জানান হয়েছে, ৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত তাঁরা নজরবন্দি হয়ে থাকবেন৷ এই সময়ে তাঁদের সঙ্গে কেউ সাক্ষাৎ করতে আসতে পারবেন না এবং তাঁরাও বাইরে কোথাও যেতে পারবেন না৷ মামলার কারণ ও পদ্ধতি এক সপ্তাহের মধ্যে লিখিত আকারে আদালতের কাছে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকার পক্ষকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.