সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রায় সব দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ তার পরও কাজে ফিরতে নারাজ তাঁরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, আরও আলোচনা চান তাঁরা। যতদিন না সেই আলোচনা হচ্ছে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। অর্থাৎ জারি থাকবে কর্মবিরতি। এহেন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, আর কবে কাজে ফিরবেন ডাক্তাররা।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রায় সব দাবি মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার। অথচ তার পরও কাজে ফিরতে নারাজ তাঁরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দিলেন, আরও আলোচনা চান তাঁরা। যতদিন না সেই আলোচনা হচ্ছে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। অর্থাৎ জারি থাকবে কর্মবিরতি। এহেন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, আর কবে কাজে ফিরবেন ডাক্তাররা! ঘটনায় রুষ্ট সুপ্রিম কোর্টও।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে আর জি কর মামলার শুনানি শেষে কর্মবিরতি-সহ একাধিক বিষয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি চিকিৎসকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের হতক্ষেপে মনে করা হচ্ছিল এবার হয়ত কাজে ফিরবেন চিকিৎসকরা। স্বাভাবিক হবে চিকিৎসা পরিষেবা। তবে কর্মবিরতিতে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক শেষে এদিন মধ্যরাতে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা এখনই কাজে ফিরছেন না। নেতৃত্ব জানায়, “তাঁদের চতুর্থ ও পঞ্চম দাবি এবং বিশেষ করে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে অপসারণের যে দাবি তা না মানা পর্যন্ত কর্মবিরতি নিয়ে একটি দাবি সনদ পাঠাবো। ওই বিষয়গুলি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আরও আলোচনা আমরা চাইছি। এগুলি জরুরি। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো সুনিশ্চিত করতে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিল, সেটাও আমরা আগে দেখে নিতে চাইছি। আমরা বুধবার সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত দাবি সনদ পাঠাবো আলোচনায় বসার জন্য। সেগুলি যথাযথ ভাবে মানা হলে আমরা যত দ্রুত সম্ভব কাজে ফিরে যেতে প্রস্তুত।” একইসঙ্গে চিকিৎসকদের দাবি, রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ছাত্র সংসদ গঠন হোক। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষণ আলোচনাও হয় কিন্তু কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি।
দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ও কর্মবিরতি নিয়ে মনোভাবের কথা জেনে এদিন বিকেলে সাড়ে চারটে থেকে রাজ্যের ২৮টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিরা স্বাস্থ্য ভবনের ধরনা মঞ্চের একটু দূরে ফের আলোচনা শুরু করেন। সূত্রের খবর, প্রথম দিকে কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়া নিয়ে একাংশের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হলেও অন্যদের বক্তব্য ছিল, পাঁচটি দাবির চারটি যখন প্রশাসন মেনেই নিয়েছে, তখন কর্মবিরতি চালালে জনমানসে তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া হবে।
রাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে ডা. অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘‘কর্মবিরতি আর আন্দোলন এক নয়। আলোচনা করে সহমতের ভিত্তিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার হবে। তবে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চলবে।’’ এদিকে হাসপাতালের স্বাভাবিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানুষের মনে বাড়ছে ক্ষোভ। দাবি উঠছে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে এবার হাসপাতালে ফিরুন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.