গোবিন্দ রায়: আগেই কলকাতার ঐতিহ্য ট্রাম সংরক্ষণ ও ট্রাম পরিষেবার উন্নয়নে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। এবার রাজ্যের এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আগ্রহী সংস্থাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ট্রাম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালতের মতে, ট্রাম (Tram) চালানোর ক্ষেত্রে গঠনমূলক আলোচনা দরকার। এনিয়ে গঠিত কমিটি দেখবে যাতে ট্রাম পরিষেবা পুনরায় চালু করা যায়। কলকাতা পুলিশের অভিযোগও খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি। ডিভিশন বেঞ্চের আরও মত, সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে যে কমিটি হয়েছে সেখানে বেসরকারি কর্তৃপক্ষকে আমন্ত্রণ জানানো দরকার। রাজ্য ও গঠিত কমিটির উদ্দেশে আদালতের পরামর্শ, কমিটি প্রথমে ভাববে কীভাবে ট্রামকে আধুনিক করা যায়। বসার জায়গা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু অত্যাধুনিক করতে হবে যাতে শুধু সাধারণ নিত্যযাত্রী নয়, নতুন প্রজন্মও আকর্ষিত হয়। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আদালত আশা রাখে, রাজ্য আগামিদিনে আদালতকে ফলপ্রসূ কিছু জানাবে। এই নিয়ে শীতকালীন অবকাশের পর রাজ্যকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সম্প্রতি ঐতিহ্যবাহী এই ট্রাম সংরক্ষণ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে (Calcutta High Court )। সোমবার এই সংক্রান্ত মামলায় ট্রাম চালু রাখা নিয়ে ট্রাম কর্তৃপক্ষের অনিচ্ছার কথা শুনে বিরক্ত হয় ডিভিশন বেঞ্চ। তাদের পর্যবেক্ষণ, ট্রাম কর্তৃপক্ষ কী খালি ট্রাম বিক্রি করতে বসে রয়েছে! কর্মচারীদের বেতন দেওয়া বা কী করে পুনরায় পরিষেবা দেওয়া যায় সে ব্যাপারে তাঁদের কোনও চিন্তাভাবনাই নেই। শহরে ট্রাম চালানো নিয়ে কলকাতা পুলিশ বিরোধিতা করেছে বলে আদালতে দাবি রাজ্যের। কারণ ট্রামের জন্য যান চলাচলের গতি ধাক্কা খাচ্ছে। ট্রাফিক ব্যবস্থায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তা শুনে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের মত, ট্রাম রাজ্যের ঐতিহ্য। পুলিশ একা এর বিরোধিতা করতে পারে না। অহেতুক তর্কবিতর্ক না করে তাকে রক্ষা করতে হবে।
মামলাকারীর পক্ষে আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী বলেন, দুটো মিটিং হয়েছে। কিছু লাইনে ট্রাম চালানোর বিরোধিতা করেছে পুলিশ ও ট্রাম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে আবার রিপোর্ট দিয়ে জানানো হয়েছে ভালো করে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে খতিয়ে না দেখেই এটা করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.