প্রিয়ঙ্কা দাসঃ এই প্রথম নয়। ওই লোকটা আজ থেকে ১৫-২০ দিন আগেও আমাদের সামনে এর চেয়েও অশালীন আচরণ করেছিল ও। এবার যা করেছে লোকটা তা তো আপনারা একটা অংশ দেখেছেন মাত্র। এর আগে যা করেছে তা আমি মুখে প্রকাশ করতে পারব না। তখন আমরা ভয় পেয়েছিলাম তাই কোনও প্রতিবাদ করতে পারিনি। তবে এবার প্রথম থেকেই সোচ্চার হয়েছিলাম।
আজ সকালে আমি, আমার এক বান্ধবী হেদুয়ায় পড়তে গিয়েছিলাম। পড়া শেষে সকাল ১২টার সময় হেদুয়া থেকে বাড়ির ফিরছিলাম আমরা। অন্যান্য দিনের মতো ৩০বি/১ বাসে করেই ফিরছিলাম। হঠাৎ, আমার বান্ধবী আমাকে বলে, পিছন দিকে তাকাস না। ওই লোকটা আমাদের দেখে নোংরা অঙ্গভঙ্গি করছে। এরপর আমরা লোকটার কাজকর্ম (হস্তমৈথুন) সব মোবাইলে রেকর্ড করতে শুরু করি। তবে প্রথমে আমরা লোকটার কীর্তিকলাপ রেকর্ড করি, তারপর বাসের মধ্যে চিৎকার করতে থাকি। তবে বাসের কোনও লোক আমাদের সাহায্য করেনি। অদ্ভূতভাবে সকলেই চুপ করে ছিল। এরপরে আমাদের চিৎকারে লোকটা বাস থেকে নেমে পালাতে যায়। তখনও আমরা বলি ওনাকে ধরুন! ওনাকে ধরুন! তখনও কেউ এগিয়ে আসেনি। লোকটা যেহেতু বুঝে গিয়েছিল আমরা রেকর্ড করছি তাই বাস থেকে নেমে পালিয়ে যায়।
এরপরই আমি সমস্ত ঘটনা ফেসবুকে পোস্ট করি। সেটা সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকেই সে পোস্ট দেখে আমার পাশে দাঁড়ায়। তারপরই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখা। আমি এরপর আমার বাবা-মা ও এক বন্ধুর সঙ্গে শ্যামপুকুর থানায় গিয়েছিলাম অভিযোগ জানাতে। তখনই শুনি লোকটা গ্রেপ্তার হয়েছে। পুলিশ আমাকে সবরকমের সাহায্য করেছে। এত তাড়াতাড়ি অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করায় আমি খুশী।
এ শহরে এমন ঘটনা সত্যিই কাম্য নয়। মেট্রোয় যুগলের আলিঙ্গন নিয়ে অনেক কথা হয়েছিল। ওদের মারধরও খেতে হয়েছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কথা ভাবিনি। তাই সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেই প্রতিবাদ জানালাম। পোস্টেই লিখেছিলাম এর প্রতিবাদ চাই। দ্রুত সাড়া মিলেছে। তাই ভাল লাগছে।
[শহর কলকাতায় চলন্ত বাসে তরুণীকে দেখে হস্তমৈথুন, ভাইরাল ভিডিও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.