Advertisement
Advertisement
Covid-19

মাস্কের জন্য রোজ ৫ হাজার টাকা! অতিরিক্ত বিল করে ফের কাঠগড়ায় বেসরকারি হাসপাতাল

এমন কাণ্ডে হতবাক স্বাস্থ্য কমিশন ইতিমধ্যে হাসপাতালকে টাকা ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে।

Private hospitals fleecing patients for mask, complaint lodged | Sangbad Pratidin‌‌

ছবি: প্রতীকী

Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:October 7, 2020 9:33 pm
  • Updated:October 7, 2020 9:33 pm  

অভিরূপ দাস: ফেস শিল্ড, গ্লাভস এমনকি মাস্কের (Mask) জন্য টাকা নিয়েছে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা করে! যা দেখে হতচকিত খোদ স্বাস্থ্য কমিশনও। ইতিমধ্যে ওই হাসপাতালকে মোট বিল থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা অভিযোগকারী রোগীর পরিবারের হাতে ফেরত দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এর আগে করোনা (Corona) চিকিৎসার খরচে রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন। তাতে বলা হয়েছিল, কোভিড প্রোটেকশন চার্জ অর্থাৎ পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজার–সহ স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সব উপাদান মিলিয়ে দিনে ১০০০ টাকার বেশি নিতে পারবে না বেসরকারি হাসপাতালগুলি। কিন্তু একের পর এক অভিযোগেই পরিস্কার, বাস্তবে তা মানছে না একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল। স্বাস্থ্য কমিশনের কাছে প্রায়ই অভিযোগ জমা পরছে অতিরিক্ত বিলের। শুধু অতিরিক্ত বিলই নয়, বিলে টাকার অঙ্ক বাড়াতে অদ্ভুত সমস্ত চার্জও নাকি নেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:‌ খোলা স্থানে দুর্গাপুজোয় ‘না’! এবার বিপাকে দিল্লির বারোয়ারি পুজো উদ্যোক্তারা]

এমনটাই হয়েছে উত্তর কলকাতার (Kolkata) পন্ডিত পুরুষোত্তম রায় স্ট্রিটের বাসিন্দা রবীন্দ্রকুমার চোপড়ার (৫৮) সঙ্গে। করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ভর্তি ছিলেন নিউ আলিপুরের বিপি পোদ্দার হাসপাতালে। কিন্তু গত ২১ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই, উপসর্গহীন এই কোভিড রোগীর কাছ থেকে ন’‌দিনে নেওয়া হয় ৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা।

এরপরই কমিশনে অভিযোগ জানান ওই ব্যক্তি। তাঁর অভিযোগ খতিয়ে দেখেই অবাক স্বাস্থ্য কমিশনের আধিকারিকরাও। ভেন্টিলেশন চার্জ ছাড়া এত বিল? কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‌‘‌রোগীর কাছ থেকে প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা করে আইসোলেশন চার্জ নেওয়া হয়েছে।’‌’‌ এরপরই প্রশ্ন উঠছে এ চার্জ আসলে কিসের? আইসোলেশন বেডের? কিন্তু সাধারণ বেডের জন্য আবার প্রতিদিন ৭ হাজার টাকা করে চার্জ নেওয়া হয়েছে চোপড়া পরিবারের কাছ থেকে। আসলে কোভিড (Covid-19) প্রোটেকশন চার্জ বলে আরও একটি খরচ ধরা হয়েছে বিলে। সেখানেই দাম ধরা হয়েছে ফেস শিল্ড, গ্লাভস, মাস্কের। তাও আবার প্রতিদিন ৫ হাজার টাকা করে। দাম বেঁধে দেওয়ার পরেও এই বিপুল বিলই ভাবিয়েছে স্বাস্থ্য কমিশনকে। মোট বিল থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে রোগীকে। আর সেই নির্দেশে হাসপাতাল রাজিও হয়েছে।

[আরও পড়ুন:‌ বিজেপির অভিযানের দিনই স্যানিটাইজেশনের জন্য বন্ধ নবান্ন, মমতাকে তোপ ক্ষুব্ধ দিলীপের]

এছাড়া খরচে রাশ টানতে দামি ব্র্যান্ডের অ্যান্টিবায়োটিক (Antibiotic), ওষুধ ব্যবহারের আগে রোগীর পরিজনদের মতামত নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল নির্দেশিকায়। কারণ একই ওষুধ কম দামেও পাওয়া যায়। রোগীর পরিজন সেই ওষুধ ব্যবহার করতে চান কি না তা জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল হাসপাতালকে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রোগীর পরিবারকে সাহায্য তো দূর ঘুরপথে তাঁদের বিলের বোঝা বাড়াতেই ব্যস্ত হাসপাতালগুলো।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement