ধীমান রক্ষিত: আগেরবারের উত্তীর্ণরা এখনও চাকরি পাননি। তার সঙ্গে রয়েছে আইনি জটিলতা। তার ফলে চলতি বছর আর হচ্ছে না প্রাথমিক টেট। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে তা জানানো হয়েছে।
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ২০২২ সালে টেট পরীক্ষা হয়। সাত লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত দেড় লক্ষ উত্তীর্ণ হন। পরের বছরেও টেট হয়। রেজিস্ট্রেশন করান ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন। তবে পরীক্ষায় বসেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার। তবে এখনও সেই পরীক্ষার ফল বেরয়নি। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “আইনি জটিলতা রয়েছে বলে ফলপ্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যা সমাধানের পরই হবে ফলপ্রকাশ। আমরা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই।” তিনি আরও বলেন, “প্রতি বছর টেট করাই আমাদের লক্ষ্য। দুবছর তা হয়েছে। কিন্তু আইনি জটিলতায় নিয়োগ হয়নি। তাই এবার টেট হবে না। কিন্তু কিছুটা পিছিয়ে ৬ মাসের মধ্যে পরীক্ষা নিশ্চয়ই নেওয়া হবে।”
শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই। পথে নেমে একসময় আন্দোলনেও শামিল হন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রাথমিক টেট না হওয়ার সিদ্ধান্তে হতাশ আরও কিছু চাকরিপ্রার্থী। পরীক্ষা না হলে ডিএলএড পাশ করা চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা আরও বাড়বে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.