ছবি: প্রতীকী
দীপঙ্কর মণ্ডল: নিজের জেলাতে শিক্ষকদের বদলির প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী মাস থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দ্রুত এই কাজ শুরু করেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। আপাতত প্রাথমিকস্তরে বদলি হবে। পরে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজের জেলায় আনবে সরকার। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় নিজের ঘরে এই খবর জানিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী এদিন বলেন, “নিজের জেলায় কাজ করার জন্য প্রাথমিক শিক্ষকদের অনুরোধ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। যা তথ্য পেয়েছি তাতে শিক্ষক ছাত্র অনুপাত ঠিক রেখে শিক্ষকদের নিজের জেলায় দেওয়া হবে। ১ এপ্রিল থেকেই শিক্ষকরা নিজেদের জেলায় যাবেন।” স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে চাকরি পাওয়া শিক্ষকরাও অপেক্ষায়। এদিন যদিও তাঁদের বিষয়ে কিছু বলেননি পার্থবাবু। তবে গত জানুয়ারি মাসে এই বিষয়ে টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুলশিক্ষা দপ্তর সেই বিষয়ে পদক্ষেপ শুরু করেছে।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ গ্রহণ করেছি। ৩০-৪০ হাজার আবেদনপত্র এসেছে। যে আবেদন রয়েছে, সে সব ছেড়ে দেব। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন এক্ষেত্রে যাঁরা বদলি হবেন তাঁরা কাজে আরও বেশি সময় দিতে পারবেন। পরিবারকেও সময় দিতে পারবেন।” বিকাশ ভবনের এক কর্তা এ প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ আরও সুশৃঙ্খল এবং গতিময় করতে শিক্ষকদের নিজের জেলায় বাড়ির কাছে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্কুলের পাশাপাশি নিজের পরিবারকে যাতে শিক্ষকরা আরও বেশি সময় দিতে পারেন, সেই জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
সরস্বতী পুজোর আগের দিন মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন, দেশ গঠনে এবং রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নে শিক্ষকরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নিতে পারবেন। তিনি টুইটারে লেখেন, “আমরা শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীদের জন্য গর্বিত। আমাদের ছাত্রদের ভবিষ্যতের প্রকৃত নেতা তৈরি করে দিতে শিক্ষকরাই প্রকৃত অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেন। সমাজ ও দেশ গঠনে শিক্ষকদের প্রচুর অবদান রয়েছে। সরস্বতী পুজোর ঠিক আগেই শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের সঠিক সময়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবার থেকে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তাঁদের নিজের জেলার স্কুলেই পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের ফলে তাঁরা তাঁদের নিজের পরিবারকে যেমন সময় দিতে পারবেন তেমনই স্কুলে পড়ানো অর্থাৎ দেশ গঠনের কাজেও সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করতে পারবেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.