সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার কি তবে সস্তার ভাইফোঁটা? বাজারদর কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। সবজি থেকে মাছবাজার, ভাইয়ের পাত ভরাতে যে দিদিদের এবার ছেঁকা খেতে হবে না, তা বোঝা যাচ্ছে জিনিসের দাম দেখেই। একটু বেগ দিচ্ছে শুধু রান্নার গ্যাস। তা না হলে এবারের ফোঁটা বেশ সস্তারই হতে যাচ্ছে ভাইদের জন্য। আর বাজার ঘুরে স্বস্তির হাসি দেখা যাচ্ছে দিদিদের মুখে। ফ্রায়েড রাইসের সঙ্গে ভেটকি পাতুরি বা আলু ফুলকপির কোরমা। যা-ই হোক না কেন, পাত বেশ পরিপূর্ণই থাকবে ভাইদের। কারণ কেনাকাটায় কার্পণ্য করার জায়গা নেই। যেহেতু জিনিস সস্তা। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় সবজির ফলন বেশ ভালই। আর মাছের জোগানও প্রচুর। তাই রাতারাতি বিরাট দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা নেই এবারের ফোঁটায়।
মাছবাজারে শ’খানেক টাকা হেরফের হতে পারে বটে, কিন্তু সবজি বাজার এক্কেবারে সস্তা। রাত পোহালেই আগামিকাল ফোঁটা। অথচ বুধবারের বাজারদর বেশ নিম্নমুখী। কোলে মার্কেটে ফুলকপি চার টাকা পিস, খোলাবাজারে এসে বড়জোর ১০ টাকা হচ্ছে। বাঁধাকপি ছ’টাকা কেজি, খোলা বাজারে তিনগুণ হলেও দাম মাত্রা ছাড়াচ্ছে না। মাংস তৈরিতে ক্যাপসিকাম পাইকারিতে ২৫ টাকা কেজি। খোলা বাজারে দ্বিগুণ হলেও ১০ টাকাতেও বড় সাইজের ক্যাপসিকাম পাওয়া যাচ্ছে। বেগুন ১৫ টাকা কেজি প্রতি পাইকারিতে। খোলা বাজারে আরেকটু বেশি। ফলে সবজি বাজার বেশ ঠান্ডা। একটু গরম মাছ বাজার। তবে তা মাত্রাতিরিক্ত নয়। মানিকতলা বাজারেই বড় কাতলা ৩৫০ টাকা, ভেটকি ৪০০ টাকা, ট্যাংরা-বাগদা ৫০০ টাকা, পাবদা ৫০০-৫৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ফোঁটার দিন ৫০-১০০ টাকা একটু হেরফের হতে পারে। কিন্তু তা কিনতে একেবারে কপালে ভাঁজ পড়বে দিদিদের, তেমনটা নয়। ব্যবসায়ীদের কথায়, অন্ধ্র-ওড়িশা থেকে মাছের জোগান বেশ ভালই। এখানকার মাছও কম নেই। তাই দাম খুব একটা চড়েনি। ভাইফোঁটার সময় অন্যবার যেমন দাম থাকে, এবার অতটা নয়। তাই কেউ চাইলে এবার সস্তার ভাইফোঁটা দিতেই পারেন ভাইকে।
তবে দুপুর-রাতের মেনুতে যা-ই থাক, মিষ্টির হরেক পদের দাম বেশ ভালই। ফোঁটা উপলক্ষ্যে নানা নতুন আইটেম তৈরি হয়েছে।২০, ২৫, ৩০, ৪০ টাকা পিসেও বিক্রি হচ্ছে নানা মিষ্টি। নামকরা মিষ্টির দোকানে ভিড়ও বেশ ভালই। সে যা-ই হোক! মধ্যবিত্ত বাঙালিকে একটু স্বস্তি দিচ্ছে এবারের মাছ ও সবজি বাজারের দর। যা বেশ সাধ্যের মধ্যেই বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারদর সম্পর্কিত টাস্ক ফোর্সের সদস্য তথা কোলে মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির তরফে কমল দে বলেন, “এবার বাজারদর বেশ সস্তা। কারণ সবজির ফলন ভাল। মালেরও জোগান প্রচুর। তাই দাম বেশ সস্তা।” মানিকতলা বাজারের ব্যবসায়ী কার্তিক সাহা বলেন, “মাছের দাম অন্য বারের তুলনায় কম। ভাইফোঁটার সময় দাম একটু চড়ে। কিন্তু এবার মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই রয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.