Advertisement
Advertisement

Breaking News

Prices of 748 medicines increased

ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে দাম বাড়ল ৭৪৮টি ওষুধের! নীরব কেন্দ্র, বিস্মিত চিকিৎসকরাও

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের কথায়, এবার থেকে ক্রমশ বাকি জীবনদায়ী ওষুধ, ইনজেকশন দাম বৃদ্ধি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

Prices of 748 medicines increased in compliance with traders' demands even doctors are surprised
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:April 1, 2025 9:17 pm
  • Updated:April 1, 2025 9:17 pm  

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: দেশের ৭৪৮টি ওষুধের দাম বেড়েছে। ওষুধের দাম বাড়ার সঙ্গে ইলেক্টোরাল বন্ডের কোনও সম্পর্ক নেই তো? অবশ্যই আছে! এমনটাই দাবি করছেন দেশের চিকিৎসক থেকে অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। কারণ, মাসকয়েক আগে বন্ড নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ হয়েছিল তাতে দেখা গিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলিকে যে সব ব্যবসায়ী আর্থিক অনুদান অথবা সাহায্য করেছিল তার প্রায় ৩২ ভাগ ওষুধ উৎপাদক সংস্থা।

লাভ থাকলে তবেই ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করে। অর্থনীতির এই সরল নিয়ম এখন মানার দাবি তুলেছে ব্যবসায়ীরা। যদিও তা আম আদমির অলক্ষে। তাই ৭৪৮টি ওষুধের দাম বাড়ার সিধান্ত একতরফা ঘোষনা করেছে (এনপিপিএ) ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি। ঠিক এই জায়গায় বিস্ময়কর ভাবে নীরব ডিসিজিআই (ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক মুখে কুলুপ এঁটেছে। উলটে ৭৪৮টি ওষুধের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষিতে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না। অর্থাৎ রীতিমত আঁটঘাট বেঁধে নতুন অর্থবর্ষের আগের দিন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা বড় অংশকে আতান্তরে ফেলা হল মনে করছে একাংশ।

Advertisement

পিছনেও অন্য কারণও আছে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ঘটনা হল প্রতিটি অর্থবর্ষের ঠিক সাতদিন আগে ওষুধ বা যে কোনও পণ্য উৎপাদক সংস্থা সারা বছরের স্টক মেলায়। সেই হিসাব বলছে আগামী দু’মাসের মধ্যে দাম বাড়া ৭৪৮টি ওষুধ কার্যত নিঃশেষ হয়ে যাবে। ফলে বছরের শুরু থেকেই লাভের কড়ি গুনতে শুরু করবে ফার্মা কোম্পানিগুলি।

বস্তুত একতরফা ওষুধের দাম বাড়ানোর ঘটনা সাম্প্রতিক অতীতে ঘটেনি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ডা. উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “বাজার অর্থনীতির নিয়মেই একতরফা ওষুধের দাম বাড়ানোর সিধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটিকে শিখণ্ডী খাড়া করে ওষুধ উৎপাদক সংস্থাগুলি এবার বাজার থেকে টাকা তোলা শুরু করছে। কেন্দ্রের শাসক দলের পকেট ভরেছে। এবার ওষুধের দাম বাড়িয়ে ইলেক্টোরাল বন্ড যে টাকা ঢেলে ছিল, সুদে আসলে তুলে নেবে ফার্মা কোম্পানিগুলি।” অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের কথায়, এবার থেকে ক্রমশ বাকি জীবনদায়ী ওষুধ, ইনজেকশন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় যন্ত্রর দাম বৃদ্ধি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ফলত রাষ্ট্রের হাতে আর ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের আর সুযোগ রইল না। উৎপল বাবুর আক্ষেপ আগামী দিনে ওষুধ এবং চিকিৎসা করাতেই না ঘটি-বাটি বিক্রি করতে হয় মধ্যবিত্ত পরিবারকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement