ফাইল ফটো
দীপঙ্কর মণ্ডল: অনশনকারী ছাত্রদের ক্ষমা করা হবে না বলে জানিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “আমরা আলোচনায় বসতে রাজি। কিন্তু ছাত্ররা যে ভুল করেছে তা ওদের বুঝতে হবে। ওদের অপরাধ অমার্জনীয়।”
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-সহ আধিকারিকদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দিয়েছিল ছাত্রদের একটি অংশ। হিন্দু হস্টেল দ্রুত চালুর দাবিতে কয়েক মাস আগে ওই ঘটনা ঘটে। গেটে তালা দেওয়ায় গভর্নিং বোর্ডের সদস্যরাও ঢুকতে পারেননি। বিক্ষোভের জেরে ক্যাম্পাসের বাইরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনায় তদন্ত কমিটি তৈরি হয়। ৩ জন ছাত্রকে সম্প্রতি সাসপেন্ড করে কমিটি। আনিসুর হক, অনিত বৈদ্য ও সায়ন চক্রবর্তীকে ওই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়। ১৯ জানুয়ারি থেকে ৬ জন ছাত্র অনশনে বসেছেন। ১৮ জন ছাত্রকে সতর্ক করেছিল কর্তৃপক্ষ। ১৯ জানুয়ারি থেকে সাসপেন্ড হওয়া ৩ ছাত্র-সহ মোট ৬ জন অনশনে বসেন। ইতিমধ্যে উপাচার্য ছাত্রদের বিরুদ্ধে ‘ব্ল্যাকমেল’ করার অভিযোগ এনেছেন। সাসপেনশন তোলার দাবিতে সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের পাশাপাশি আর্য অগ্রহারি, মাল্যবান গঙ্গোপাধ্যায় ও সৌম্যদীপ গোস্বামীও অনশন শুরু করেন। পোর্টিকোর নিচে চলছিল অনশন। বুধবার তাঁরা উপাচার্যের ঘরের সামনে অনশনে বসেন। রাতভর ক্যাম্পাসেই ছিলেন উপাচার্য।
[‘অনশনের নামে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে’, সরব প্রেসিডেন্সির উপাচার্য]
অন্যদিকে, টানা অনশনে এক পড়ুয়া এদিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। উপাচার্য বলেন, “অনশনের নামে আমাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। অনশন না তুললে কোনও কথা বলব না। আমার ওপরে চাপ তৈরি করে কোনও লাভ হবে না।” অনশনকারীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না সাসপেনশন উঠবে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।
[হাইওয়েতে তোলা তুলছে ‘ডাকাত’ পুলিশ, অভিযোগে সরব গায়ক সৌমিত্র]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.