দীপঙ্কর মণ্ডল: বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু হস্টেল খোলেনি। যার ফলে দূর-দুরান্ত থেকে প্রেসিডেন্সিতে (Presidency University) পড়তে আসা পড়ুয়ারা বিপাকে। বাইরে কোথাও টাকা খরচ করে থাকার সামর্থ্যও সবার নেই। ফলে নিরুপায় হয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা বারান্দায় রাত কাটালেন হিন্দু হস্টেলের (Hindu Hostel) পড়ুয়ারা। তাঁরা জানিয়েছেন, যতদিন না হস্টেল খুলবে ততদিন এভাবেই মেঝেয় শতরঞ্চি বা খবরের কাগজ পেতে ঘুমোবেন।
বুধবার রাতে আরিয়ান অগ্রহারি নামে স্নাতকোত্তর ছাত্র জানালেন, “বাইরে থাকার খরচ বহন করার সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই বাধ্য হয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আছি।” কোভিড সতর্কতায় ২০২০ সালের ১৬ মার্চ হিন্দু হস্টেল বন্ধ হয়। বন্ধ হওয়ার আগে কয়েক বছর সংস্কারের কাজ চলে। সেসময়ও হস্টেল খোলার দাবিতে বিস্তর আন্দোলন করতে হয় পড়ুয়াদের। আন্দোলনের পর আংশিকভাবে খুলেছিল হস্টেল। ৩০০ আসনের মধ্যে ১১০ টি চালু হয়। অন্যদিকে সল্টলেকে ছাত্রী হস্টেলে (Girls Hostel) আসন সংখ্যা ২১০। কিন্তু এই মুহূর্তে কোভিড বিধি মানতে সব হস্টেলই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন খুলে গিয়েছে। উচ্চশিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, কোনও প্রতিষ্ঠান চাইলে হস্টেল চালু করতেই পারে। কিন্তু প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ এখনও হস্টেল না খোলার সিদ্ধান্তে অনড়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতি আরও খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলে হস্টেল খোলা হবে।
বস্তুত, ক্লাস চালু হওয়ার পর বাইরে থেকে আসা পড়ুয়ারা বিপাকে। প্রেসিডেন্সির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “অতিমারীর পর আমাদের প্রতিষ্ঠানে সরাসরি পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। কিছুদিন পরিস্থিতি দেখে আমরা হস্টেল চালুর কথা ভাবব।” মুশকিল হল, কর্তৃপক্ষের এই ঢিলেমিতে সমস্যায় পড়ছে পড়ুয়ারা। এক স্নাতক ছাত্র বলেন, “হস্টেল চালু না হওয়ায় অনেকে খুব সমস্যায় আছে। দ্রুত তা চালুর দাবি করেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.