মলয় কুণ্ডু: আচমকাই নবান্নে প্রশান্ত কিশোর (Prasant Kishore)। মমতা এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্ত বৈঠক সারলেন ভোটকুশলী। সোমবার নবান্ন থেকে বাবুল সুপ্রিয় বেরিয়ে যাওয়ার পরই তিনজনের মধ্যে বেশকিছুক্ষণ কথাবার্তা হয়। তবে কী নিয়ে এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, নবান্ন থেকে ভবানীপুরের শীতলা মন্দিরে যান তৃণমূলনেত্রী। সেখানেও তাঁর সঙ্গে ছিলেন পিকে এবং অভিষেক (Abhishek Banerjee)।
এদিন দুপুরে নবান্নে এসেছিলেন বাবুল। মমতা, অভিষেক এবং ডেরেক ও ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠক করেন আসানসোলের সাংসদ। তার পর ডেরেককে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। এর পরই নিজের ঘরে পিকে এবং অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক সারেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলার পাশাপাশি একাধিক রাজ্যে সংগঠন বাড়াচ্ছে তৃণমূল। আর সেই দায়িত্ব অভিষেকের কাঁধে তুলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সংগঠন বৃদ্ধি নিয়ে পিকের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করতে দেখা গিয়েছে অভিষেককে। এবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সারলেন পিকে। যা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত, ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে অভিষেক দু’ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বৈঠক করেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে। দীর্ঘ জেরার পর ইডির অফিস থেকে বেরিয়ে সদর্পে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেছিলেন, দেশের যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি রয়েছে, সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস যাবে এবং ২০২৪ সালে বিজেপিকে হারাবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। সেই ঘোষণার ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই পিকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠক জল্পনা বৃদ্ধি করেছিল রাজনৈতিক মহলে।
বাংলার গণ্ডি অতিক্রম করে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা ও অসমের মতো রাজ্যে তৃণমূল (TMC) জোর কদমে পা ফেলার কাজ সেরে ফেলেছে। ত্রিপুরা থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত করাই যে তৃণমূলের লক্ষ্য, সেই বার্তাও অভিষেক ইতিমধ্যেই দিয়ে দিয়েছেন। পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির পাশাপাশি তৃণমূল কি এবার তাহলে উত্তর ভারত তথা গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে নিজেদের পা ফেলতে চাইছে? পিকে-অভিষেক-মমতার বৈঠকের পর থেকে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.