সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট নাতি অসুস্থ ছিল। সেই জন্যই মানসিক অবসাদে ভুগত মেয়ে। এই অবসাদের কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে ছোট ছেলেকে নিয়ে। এতে জামাইয়ের কোনও দোষ নেই। সল্টলেকের সৌরভ আবাসনে শিশু-সহ মার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এই মন্তব্য করলেন মৃত পৌলমী রাউতের মা কুমকুম সাহা।
ভারতের ক্ষেত্রে শাপে বরই হবেন ট্রাম্প, অভিমত মুকেশ আম্বানির
৩৫ বছরের ওই গৃহবধূ সল্টলেকের ইই ব্লকের এই আবাসনে ২০১ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন৷ স্বামী অনুপ রাউত সেক্টর ফাইভে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করেন৷ দুই ছেলের একজনের বয়স সাত বছর, অন্যজন নয় মাস৷ বুধবার সন্ধে ছ’টা নাগাদ পৌলমীর শ্বশুর-শাশুড়ি ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন৷ আচমকাই একটা আওয়াজে দৌড়ে আসেন তাঁরা৷ দরজা বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের ডাকেন৷ পাশের বাড়ির লোকেরা দরজায় ধাক্কা দিয়েও কারও সাড়া পাননি৷ খবর দেওয়া হয় বিধাননগর পূর্ব থানায়৷ পুলিশ এসে দরজা ভাঙে৷ মাটিতেই পড়ে ছিল পৌলমীর দেহ৷ আশ্চর্যজনকভাবে মৃতার কোমরেই বাঁধা ছিল ন’মাসের শিশু সন্তানটি৷ তারও দেহে প্রাণ ছিল না৷ জানা গিয়েছে, পৌলমী যখন নিজের গলায় ফাঁস দিচ্ছিলেন তাঁর সাত বছরের ছেলে জানলা দিয়ে গোটা দৃশ্যটি দেখে ফেলে৷ তা দেখে সে চিৎকার করে ওঠে৷
জিও-র ফ্রি পরিষেবার সুনামিতে ভাটার টান
ঠিক কী কারণে পৌলমী আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ৷ তাঁর ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি৷ এদিকে ঘটনার পর পৌলমীর বাবা অভিযোগ করেন, “আমার জামাই আর তাঁর মা আমার মেয়ের উপর মানসিক অত্যাচার করত৷” শোকে আত্মহারা প্রৌঢ় জানিয়েছিলেন, “আমার কথা বলার ক্ষমতা নেই৷ দিল্লি থেকে আমার আত্মীয়রা আসছে৷ তাঁরা আসার পরেই যা করার করব৷” কিন্তু এর মধ্যেই পৌলমীর মার মন্তব্য নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে৷ বুধবার রাতে পৌলমীর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷ পৌলমীর সাত বছরের ছেলের সঙ্গেও কথা বলার চেষ্টা করছে পুলিশ৷ তবে চোখের সামনে মাকে আত্মঘাতী হতে দেখে এখনও শকে রয়েছে সাত বছরের শিশু৷ প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে৷ কিন্তু রাউত বাড়িতে কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা কেউ দেখেননি বলেই জানিয়েছেন পড়শীরা৷ আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ৷
বুদ্ধির জোরে অনেক এগিয়ে থাকে প্রথম সন্তান
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.