Advertisement
Advertisement
BJP

কালি বিতর্ক কাটেনি! এবার দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি জেলা সভাপতিকে সরাতে সল্টলেক জুড়ে পোস্টার

একাধিক অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতার নামে।

posters all over Salt Lake to remove BJP district president of South Kolkata

এই পোস্টার ঘিরেই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:March 26, 2025 2:11 pm
  • Updated:March 26, 2025 2:11 pm  

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ঘরোয়া গোষ্ঠীকোন্দল কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি জেলা সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চেয়ার ছোড়াছুড়ি থেকে নেতার অনুগামীকে কালি মাখানো! চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুরে। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের প্রকাশ্যে কোন্দল। দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এবার পোস্টার পড়ল। সল্টলেকের বিজেপি অফিসের বাইরে একাধিক জায়গায় এই পোস্টারে চাঞ্চল্য ছড়াল।

দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্যকে ঘিরে দলের অন্দরেই বিক্ষোভ ছড়িয়েছে। জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। দলীয় কর্মীদের একাংশের দাবি, টাকা কিংবা অন্যান্য দামী সামগ্রীর বিনিময়ে পদ পাইয়ে দেন জেলা সভাপতি। যদিও সেই অভিযোগ মানতে চাননি তিনি। এদিকে নেতৃত্বও এই বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। সেসবের মধ্যেই এবার পোস্টার পড়ল তাঁর বিরুদ্ধে।

Advertisement

পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘দালাল চোর অনুপম ও অনুপম অনুগামী কোম্পানি হাটাও, দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি বাচাও।’ এদিন সকাল থেকে নতুন এই পোস্টার ঘিরে ফের রাজনৈতিক শোরগোল ছড়িয়েছে। কে বা কারা এই পোস্টার দিল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। মুখ খুলছেন না কলকাতার বিজেপি নেতারা। এদিকে এই বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। নদিয়ার কৃষ্ণনগরে এদিন সকালে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই দিলীপ বলেন, “পোস্টার রাজনীতি বিজেপি করে না। কারও যদি কারও বিরুদ্ধে সমস্যা থাকে, কথা বলা উচিত শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সঙ্গে। রাজনীতিতে সব হয়। তবে বিজেপির রাজনীতিতে গুলি-বোমা চলে না।”

গত রবিবার ঠাকুরপুকুরের আনন্দনগর বাজার এলাকায় দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি জেলা সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্যের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে চরমে ওঠে কোন্দল। অনুষ্ঠান চলাকালীন অন্য শিবিরের একদল বিজেপি কর্মী-সমর্থক গিয়েছিলেন। কেন দীর্ঘদিনের কর্মীদের সক্রিয় সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে না? সেই প্রশ্ন তোলা হয়। এরপরই শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। এরপর জেলা বিজেপি সভাপতির এক অনুগামীর গায়ে কালি ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনায় পুলিশেও অভিযোগ দায়ের হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub