দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নবান্নের ভূমিকায় প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। আজ বিকেলে রাজভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে বলেন, জীবাণু কোনও বাছবিচার করে না। যে কারও শরীরে সংক্রমণ ঘটতে পারে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্বের জেরে নামতে পারে বিপদ। তাই কোনওরকম গয়ংগচ্ছ মনোভাব চলবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সাধারণ মানুষের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন।
খুব কম দিনে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির বেশ খানিকটা অবনতি হয়েছে। ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা এক থেকে বেড়ে হয়েছে দুই। এই অবস্থায় রাজ্যবাসীকে আরও সতর্ক থাকতে বারবার বার্তা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছে। এবার একই বার্তা দিলেন রাজ্যপালও। সাফ বললেন, “সব ঠিক হয়ে যাবে, ভাবার মতো পরিস্থিতি আজ আর নেই। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে হবে সাবধানে। কোনও ধরনের কালোবাজারি চলবে না, কেউ অতিরিক্ত আয়ের কথা ভাববেন না। এটা ভালবাসার সময়। এই সময়ে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করাও দরকার।” তিনি এও বলেন যে আগামী ২২ মার্চ সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ‘জনতা কারফিউ’-এ দেশবাসী নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হবেন।
তবে পশ্চিমবঙ্গের জনঘনত্ব যে কোনও জীবাণু সংক্রমণের পক্ষে বিপজ্জনক। আর সেটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে। সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যপাল এই নিয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যক্তিগতভাবে কাজ করছেন। এটা একটা ইতিবাচক দিক।” এমনিতে রাজভবন এবং নবান্নের সম্পর্ক বিশেষ মধুর নয়। বিভিন্ন ইস্যুতে মতানৈক্যের ছবিটাই বেশি সামনে আসে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এমন সংকটজনক পরিস্থিতিতে সেসব দ্বন্দ্ব ভুলে হাতে হাত রেখে কাজ করাই মানবিক পদক্ষেপ। আর রাজ্যপালের কথায় সেই যৌথ ভূমিকা পালনের ইঙ্গিতই মিলল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.