সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে দিন দিন বাড়ছে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি। একসময় সিপিএম যেভাবে ক্যাডার ভিত্তিক দল চালাত, বিজেপিও হাঁটছে সেপথেই। গেরুয়া শিবিরের সুবিধা হল সংঘের সংগঠন। আরএসএস নেতারা রাজ্যের প্রতিটি বুথে সক্রিয় হয়ে উঠছেন। যার ফলে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় তৃণমূল স্তরে বিজেপির সংগঠন এখন তৃণমূলের থেকেও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। যার প্রতিচ্ছবি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে। যেভাবে বিজেপি-আরএসএস রাজ্যে সংগঠন বাড়িয়ে চলেছে, তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছে রাজ্যের শাসক শিবির। তাই, কার্যত বাধ্য হয়েই এই পরিস্থিতি বদলাতে উদ্যোগী হচ্ছে শাসকদল। শোনা যাচ্ছে, বিজেপিকে রুখতে সিপিএমের পথে হাঁটতে চলেছে তৃণমূল। সিপিএমের ধাঁচেই রাজ্যের প্রতিটি বুথে পার্টি হোলটাইমার নিয়োগ করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নজরুল মঞ্চে দলের নেতাদের জরুরি তলব করেছেন মমতা। বৈঠকে উপস্থিত থাকছেন দলের সব বিধায়ক, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতিরা। দলনেত্রীর এই জরুরি তলবের পরই শাসক শিবিরে জল্পনা, বড় কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতে পারে সোমবার। শোনা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যের প্রতিটি বুথে সিপিএমের ধাঁচে হোলটাইমার নিয়োগ করতে পারে শাসক শিবির। যারা সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে কাজ করবে। প্রতিটি বুথে অন্তত ৪ জন করে এই ধরনের কর্মী নিয়োগ করা হবে। যাদের মূল কাজ হবে জনসংযোগ। প্রত্যেকটি মানুষের ব্যক্তিগত সমস্যার কথা শুনবে এরা। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হবে। হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকে নানাভাবে ছবি ব্যবহার করে, ভিডিও ব্যবহার করে প্রচারের নির্দেশ দেওয়া হবে। প্রত্যেক কর্মীর আলাদা আলাদা কাজ থাকবে। এবং প্রত্যেককেই নির্দিষ্ট বেতন দেওয়া হবে।
তৃণমূল সৃষ্টিলগ্ন থেকেই মূলত গণউন্মাদনার উপর নির্ভর করে চলে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস আর আবেগটাই তৃণমূলের মূল ইউএসপি। সেভাবে সংগঠনের দিকে কোনওদিনই নজর দেননি দলনেত্রী। কিন্তু, রাজ্যে বিজেপির চমকপ্রদ উত্থানের পর সেই সাংগঠনিক দুর্বলতাটা অনেকাংশে চোখে পড়ছে। সেটা অনুধাবন করতে পেরেছেন রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। এই হোলটাইমার বিষয়টিও মূলত তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। একসময় সিপিএম এই হোলটাইমারদের দিয়ে সংগঠন সাজিয়েই ৩৪ বছর রাজ্যশাসন করেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের আশা, তাদের হোলটাইমাররাও সিপিএম ক্যাডারদের মতোই কার্যকরী হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.