অর্ণব আইচ: গতকালই শহরের মাদক পাচারচক্রের সঙ্গে যোগ স্পষ্ট হয়েছে চিনের৷ কলকাতা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে পাঁচ চিনা নাগরিক৷ উদ্ধার হয়েছে ৪০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক৷ তবে ধৃতদের জেরা করতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে গোয়েন্দাদের৷ সূত্রের খবর, নিজেদের মধ্যে চিনা ভাষায় কথা বলে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করছে ধৃত পাঁচ চিনা নাগরিক৷ যার ফলে ইতিমধ্যেই দোভাষীর খোঁজ শুরু করে দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা৷ উদ্দেশ্য, তাঁর সাহায্যেই রবিবার দুপুর থেকেই পাচারকারীদের আবারও জেরা শুরু করা৷
[দুরন্ত এক্সপ্রেসে খাবার খেয়ে অসুস্থ একাধিক যাত্রীরা, বিক্ষোভ শিয়ালদহ স্টেশনে]
সূত্রের খবর, ধৃত পাঁচজনকে প্রাথমিক ভাবে ইংরেজিতে জেরা করা শুরু করেছিলেন তদন্তকারীরা৷ কিন্তু ভাঙা ভাঙা ইংরেজি ও বেশি চিনা ভাষা ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টায় রয়েছে ধৃতরা৷ তবুও তাদের জেরা করে ইতিমধ্যেই কয়েকটি তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের৷ জানা গিয়েছে, চিন থেকে ভারত হয়ে হংকংয়ে মাদক পাচার করার পরিকল্পনা ছিল৷ তবে অধরা আরও অনেক প্রশ্নের উত্তর৷ যেমন, ওদের আর কোন কোন এজেন্ট শহরে রয়েছে? শহরের কোথায় কোথায় এই নিষিদ্ধ মাদক ইতিমধ্যেই ধৃতেরা বিক্রি করেছে? রাজ্যের আর কোথায় কোথায় তাদের যোগ রয়েছে? সম্ভবত এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়ারই চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসারেরা৷
[কলেজে ভরতির নামে কেউ টাকা চাইলে জানাতে বলছে পুলিশ]
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালেই কলকাতা স্টেশন থেকে এই পাঁচ চিনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে জিআরপি। তল্লাশি চালিয়ে তাদের ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে নিষিদ্ধ ড্রাগ অ্যাম্ফটামাইন। সাধারণত ‘পার্টি ড্রাগ’ হিসাবে এটি পরিচিত৷ এই ড্রাগ মানুষের মস্তিষ্ককে এত সচল করে দেয় যে উদ্দাম নৃত্য বা যৌন সংসর্গে দমের ঘাটতি হয় না। সে কারণেই বাজারে এই ড্রাগের চাহিদা এখন তুঙ্গে বলে জানায় পুলিশ৷ তাদের দাবি, এই পাচারচক্রের জাল আরও অনেকদূর ছড়িয়ে রয়েছে। এত বিপুল অঙ্কের মাদক উদ্ধারে রীতিমতো হতবাক দুঁদে গোয়েন্দারাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.