Advertisement
Advertisement

বালিগঞ্জে যৌথ পরিবারে বিকৃত যৌনাচার, দুই জা-কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে পুলিশ

ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

Police to probe wife swapping case
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:January 5, 2019 4:27 pm
  • Updated:January 5, 2019 4:27 pm  

অর্ণব আইচ: বালিগঞ্জের অভিজাত পরিবারে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ। তা যাচাই করতে এবার দুই বউকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে পুলিশ। বালিগঞ্জ পার্কের অভিজাত সেন পরিবারে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ তুলেছেন ছোট ছেলে নীলাঞ্জন সেনের বউ। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে তাঁর ভাসুর সুরঞ্জনের সঙ্গে যৌনাচারে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, এই সেন পরিবারেই রয়েছে দীর্ঘদিনের বহুগামিতার রীতি। তেমন হলে তা নিয়ে সবার আগে তাঁর বড় জা অর্থাৎ ভাসুরের স্ত্রী সেই একই অভিযোগ তুলতেন। কিন্তু তাঁর তরফে এমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। তাঁকে কি কোনওভাবে মানসিক বা শারীরিক অত্যাচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে? এমন সব প্রশ্নের মধ্যেই জটিল এই ঘটনার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

বালিগঞ্জ পার্কের অভিজাত স্বর্ণ ব্যবসায়ী পরিবারে বিকৃত যৌনাচারের অভিযোগ ওঠে শুক্রবার। যা নিয়ে তোলপাড় হয় মহানগরী। মূল অভিযোগ, বাড়ির ছোট ছেলে নীলাঞ্জনের বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রীই অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে পণের দাবিতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। পণ না পেয়ে তাঁকে ভাসুর সুরঞ্জন সেনের সঙ্গে নিয়মিত যৌন সম্পর্ক তৈরি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। তাঁর কথায়, “পণের টাকা না পাওয়ায় দিনের পর দিন আমাকে ধর্ষণ করে যৌন ক্ষুধা মেটাতেন ভাসুর সুরঞ্জন। প্রতিবাদ করলে জুটত নির্যাতন।” অভিযোগের তদন্তে বালিগঞ্জে সেন পরিবারের বাড়িতে গেলে মারধর, তারপরই দুই ভাই সুরঞ্জন ও নীলাঞ্জন সেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

Advertisement

[শ্বশুরবাড়িতে লাগাতার ভাসুরের ধর্ষণ, শহরে বিকৃতকাম যৌনতার শিকার বধূ]

এর পরই পালটা অভিযোগ করা হয়েছে সেন পরিবারের তরফে। তাঁরা বলছেন, ঘটনা পুরোপুরি মিথ্যা। তাই যদি হবে তবে ১৪ বছর স্বামীর সঙ্গে সংসার করার পর এই অভিযোগ তুলছেন কেন নীলাঞ্জনের স্ত্রী। গত কয়েক মাস যাবৎ নীলাঞ্জনের স্ত্রীকে একাধিক পুরুষের সঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। বহুগামী সে নিজেই। তার পরই সাংসারিক বিবাদ চরমে পৌঁছলে নীলাঞ্জনের স্ত্রী দাদার কাছে চলে যান। সাত মাস সেখানে থাকার পর আচমকা এই অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করে তবেই এ নিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা করবে পুলিশ। তাদের মতে, হতে পারে এমন অভিযোগ সত্যি। ভয়ে হয়তো নীলাঞ্জনের স্ত্রী এতদিন মুখ খুলতে পারেননি। তাই এমন বহুগামিতার বিষয় যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তবে নিশ্চয়ই তার সম্মুখীন হয়েছিলেন বাড়ির বড় বউও। সেক্ষেত্রে তিনি মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে পারেন। এতসব ভেবেই দুই জাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবছে পুলিশ। বালিগঞ্জ পার্কের ‘অরিহন্ত গার্ডেন’-এর এমন ঘটনা সত্যি হলে তা আদিম প্রবৃত্তিকেই মনে করিয়ে দেয়।

নৃতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের একাধিক সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন প্রথা চালু বহু প্রাচীন কাল থেকেই। মহাভারতে এমন প্রথার নজির রয়েছে। রয়েছে হিমাচল প্রদেশের কিন্নর, কেরল, নীলগিরি পর্বতের টোডা উপজাতির মধ্যে। তবে আধুনিক সমাজে এমনটা ঘটলে লজ্জার। বাড়ির ছোট বউয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শ্বশুর, শাশুড়ি ও জায়ের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ। তাই একইসঙ্গে জেরা করা হবে বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement